ফাইল চিত্র।
দ্রুত করোনার ধাক্কা সামলে ওঠা মুশকিল। তা বুঝেই ২০১০ সালের বাজেট নিয়ন্ত্রণ আইন(এফআরবিএম) সংশোধন করে আরও পাঁচ বছরের জন্য আর্থিক ঘাটতি এবং রাজ্যের মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদনের সাপেক্ষে ঋণ নেওয়ার পরিমাণ বাড়িয়ে নিল রাজ্য সরকার। এতদিন বাজেট নিয়ন্ত্রণ আইনে নেওয়া আর্থিক শৃঙ্খলার সূচকগুলি লক্ষ্যমাত্রার নীচে রাখতে সক্ষম বলে রাজ্য বরাবরই দাবি করে এসেছে। করোনা এসে তা পুরোপুরি উল্টে দিয়েছে বলেই অর্থ কর্তারা জানাচ্ছেন।
বাজেট নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনের পর রাজ্য সরকার ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষ পর্যন্ত রাজ্যের মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদনের ৩৪.৩% প্রতি বছর ঋণ নেওয়ার ক্ষমতা নিয়ে রেখেছে। ২০১৯-২০ অর্থবর্ষে ঋণ নিয়ে হয়েছে ৩৩.৩%। ফলে সরকারি খরচ চালাতে আগামী পাঁচ বছর আরও বেশি করে ধার নেওয়ার পথ খোলা রাখছে রাজ্য।
একইসঙ্গে আর্থিক ঘাটতি কমানোর ক্ষেত্রেও একইভাবে আরও শিথিল নিতে বাধ্য হচ্ছে সরকার। বাজেট নিয়ন্ত্রণ আইন অনুযায়ী ঘাটতি কমানোর লক্ষ্যমাত্রার পথে রাজ্য চলেছে বলে নবান্ন বরাবর দাবি করে এসেছে। ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষে আর্থিক ঘাটতির পরিমাণ ছিল রাজ্যের মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদনের ২.৯৬%। ২০১৯-২০তে তা দাঁড়াতে
চলেছে ২.৬৩% বা ৩৪ হাজার ১১৬ কোটি টাকায়। লক্ষ্য ছিল আরও কমানোর। বাজেট নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধন করে ২০২৪-২৫ পর্যন্ত আর্থিক ঘাটতির লক্ষ্যমাত্রা প্রতি বছর মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদনের ৩% রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অর্থ দফতর। যার অর্থ, ধার করে খরচ চালালেও, খরচে লাগাম কষার ব্যাপারে এখনও ততটা সক্রিয় হতে পারছে না অর্থ দফতর।
এক অর্থ কর্তার কথায়,‘‘করোনার কারণে আর্থিক কর্মকাণ্ডের মেরুদণ্ডটাই ভেঙে গিয়েছে। এখন বেসরকারি ক্ষেত্রে তেমন লগ্নি নেই। ফলে সরকারি খরচ বেশি করা হলে তার প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ প্রভাব সামগ্রিক অর্থ ব্যবস্থায় গতি আনতে সাহায্য করবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy