গ্রাফিক: সনৎ সিংহ
দেশের বিভিন্ন রাজ্যের জেলাশাসকদের সঙ্গে শনিবার ভাচুর্য়াল মাধ্যমে বৈঠক করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। সেই বৈঠকের রাজ্যের কোনও জেলাশাসক (ডিএম) ছিলেন না বলে অভিযোগ ওঠে। বিষয়টি নিয়ে ক্ষুব্ধ বাংলার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী চিঠি দিতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে ও স্বারাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে। চিঠি লিখে নালিশ করবেন বলে শনিবার রাতে টুইট করে জানান শুভেন্দু। রবিবারও একটি কর্মসূচিতে যোগ দিতে এসে একই অভিযোগ করেন তিনি।
ওই কর্মসূচিতে এসে শুভেন্দু বলেন, ‘‘যাঁরা এই বৈঠকে গরহাজির ছিলেন, তাঁদের বিরুদ্ধে আলাপনের বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো ব্যবস্থা নিতে চিঠিতে আবেদন জানাব।’’ সূত্রের খবর, সোমবারই এই চিঠি দিতে পারেন শুভেন্দু।
প্রসঙ্গত, অবসরের ঠিক আগে আলাপনের কার্যকালের মেয়াদ সাময়িক বৃদ্ধি করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। কিন্তু বর্ধিত সময়সীমা পর্যন্ত কাজ করেননি আলাপন। বরং নির্দিষ্ট দিনেই (৩১ মে, ২০২১) পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যসচিব পদ থেকে অবসর নেন তিনি। এর পর আলাপনের বিরুদ্ধে শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগ তুলে তদন্ত শুরু করেছিল কেন্দ্রের কর্মিবর্গ মন্ত্রক। বিষয়টি আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছে।
সম্প্রতি আইএএস এবং আইপিএস ক্যাডার বিধি সংশোধন করতে চেয়ে রাজ্যগুলিকে বার্তা পাঠিয়েছে কেন্দ্র। এমনকি, কেন্দ্র চাইলে সঙ্গে সঙ্গে ডেপুটেশন অথবা নির্ধারিত পদে যোগ দিতে অফিসারদের ছাড়ার কথা বলা হয়েছে রাজ্যকে। রাজ্য রাজি না হলে বিধির কড়া প্রয়োগের বার্তাও দিয়েছে কেন্দ্র। প্রশাসনিক পর্যবেক্ষকদের অনেকেই বক্তব্য, প্রস্তাবিত সংশোধিত বিধি কার্যকর হলে অফিসার-নিয়ন্ত্রণের পুরো রাশই কার্যত চলে যাবে কেন্দ্রের হাতে। তাই অফিসারদের দায়বদ্ধতাও অনেকাংশে কেন্দ্রের প্রতি থাকবে।
এই পরিস্থিতিতে প্রশ্ন উঠছে, ভার্চুয়াল বৈঠক করে প্রাধনমন্ত্রী অফিসারদের উপরে নিজের নিয়ন্ত্রণ দৃঢ় করার বার্তাই কি দিলেন? কারণ, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে জেলাশাসকদের বৈঠক সাম্প্রতিক অতীতে অন্তত দেখা যায়নি।
কেন্দ্রের এই ধরনের আচারণে ক্ষুব্ধ রাজ্য সরকারও। তাদের মতে, এটা যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর পরিপন্থী। এমন আবহেই বাংলার বিরোধী দলনেতা চিঠি লিখতে চলেছেন মোদী-শাহকে।
এ বিষয়ে বিজেপি-র সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী বৈঠকে ডাকলে রাজ্যে ডিএম-সিএম-এর দেখা পাওয়া যায় না। তাঁরা আসেন না। এ দিকে রাজ্য সরকার ট্যাবলো পাঠাবে। ট্যাবলো যদি কোনও কারণে বাতিল হয় তবে রাজনীতি করবে। এই রাজনীতি কার জন্য করা হচ্ছে, আশা করছি অন্তত বাংলার মানুষের জন্য নয়।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy