Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
IPC Bill 2023

কলকাতায় শাহের সভার দিনেই মমতার উত্তর-পত্র গেল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে, কী লিখলেন মুখ্যমন্ত্রী?

ঘটনাচক্রে, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের কলকাতা সফরের দিনই দণ্ডসংহিতা বিল পাশে তাড়াহুড়ো না করার বার্তা দিয়ে তাঁকে চিঠি পাঠালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

গ্রাফিক: সনৎ সিংহ।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৯ নভেম্বর ২০২৩ ১৮:২৫
Share: Save:

ভারতীয় ন্যায় সংহিতা, ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতা এবং ভারতীয় সাক্ষ্য অধিনিয়ম— দেশের আইনশৃঙ্খলার খোলনলচে বদলে দেওয়ার তিনটি বিল নিয়ে নরেন্দ্র মোদী সরকারের তাড়াহুড়ো নিয়ে প্রশ্ন তুললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে চিঠি লিখে মমতার ‘বার্তা’— সংসদের আসন্ন শীতকালীন অধিবেশনে যেন অতিসক্রিয়তা দেখিয়ে এ সংক্রান্ত বিল পাশ করা না হয়। ঘটনাচক্রে, শাহের কলকাতা সফরের দিনেই মুখ্যমন্ত্রীর দফতর থেকে নর্থ ব্লকে গেল সেই চিঠি।

ভারতীয় দণ্ডবিধি তৈরি হয়েছিল ব্রিটিশ জমানায়, ১৮৬০ সালে। সাক্ষ্য আইন তৈরি হয় ১৮৭২-এ। ফৌজদারি দণ্ডবিধি তৈরি হয় ১৯৭৩-এ। গত ১১ অগস্ট সংসদের বাদল অধিবেশনের শেষ দিনে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ লোকসভায় তিনটি বিল পেশ করে জানিয়েছিলেন, ১৮৬০ সালে তৈরি ‘ইন্ডিয়ান পেনাল কোড’ (ভারতীয় দণ্ডবিধি) প্রতিস্থাপিত হবে ‘ভারতীয় ন্যায় সংহিতা’ দিয়ে। ১৮৯৮ সালের ‘ক্রিমিনাল প্রসিডিওর অ্যাক্ট’ (ফৌজদারি দণ্ডবিধি) প্রতিস্থাপিত হবে ‘ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতা’ দ্বারা এবং ১৮৭২ সালের ‘ইন্ডিয়ান এভিডেন্স অ্যাক্ট’ (ভারতীয় সাক্ষ্য আইন) প্রতিস্থাপিত হবে ‘ভারতীয় সাক্ষ্য বিল’-এ।

এর পরেই বিল তিনটি সংসদীয় স্ট্যান্ডিং কমিটির কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। পাশাপাশি, শাহ বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের এই আইন বদলের বিষয়ে চিঠি পাঠান। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পাঠানো ২২ অগস্টের সেই চিঠিরই জবাব দিয়েছেন মমতা। স্পষ্ট ভাষায় লিখেছেন, ‘‘আইন বদলের এই উদ্যোগ ভারতীয় জনজীবনকে প্রভাবিত করতে পারে। তাই চূড়ান্ত সতর্কতা বজায় রেখেই এ ক্ষেত্রে পদক্ষেপ করতে হবে।’’ মমতার দাবি, বর্তমান লোকসভার মেয়াদ শেষ হতে চলেছে। তাই তাড়াহুড়ো করে শীতকালীন অধিবেশনে যেন এ সংক্রান্ত বিল পাশের চেষ্টা না করা হয়।

বিজেপি বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’র একাধিক দল ইতিমধ্যেই অভিযোগ করেছে খোলনলচে বদলে ব্রিটিশ জমানার রাষ্ট্রদ্রোহ আইন আরও কঠোর করতে সক্রিয় হয়েছে মোদী সরকার। কার্যত সেই অভিযোগের প্রতিধ্বনি তুলে অক্টোবরে এক্স হ্যান্ডলে একটি পোস্ট করেছিলেন মমতা। তিনি লিখেছিলেন, ‘‘নতুন আইনগুলি কেবল নামে নয়, কার্যক্ষেত্রেও ঔপনিবেশিক প্রভাবমুক্ত হওয়া উচিত। ফৌজদারি বিচার ব্যবস্থার ক্ষেত্রে বদল আনার এই প্রচেষ্টা গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে হওয়া উচিত।’’

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy