Advertisement
২৭ ডিসেম্বর ২০২৪

উপনির্বাচনে হার নিয়ে দোষারোপ শুরু বিজেপিতে

উপনির্বাচনে পরাজয়ের পর লোকসভার তিন বিজেপি প্রার্থী সোশ্যাল মিডিয়ায় দলের দিকে আঙুল তুলেছেন।

জয়োল্লাস: ফল ঘোষণার পরই গণনাকেন্দ্রের বাইরে আবির খেলায় মেতে ওঠেন নেতা-কর্মীরা। ছবি: চিরঞ্জীব দাস

জয়োল্লাস: ফল ঘোষণার পরই গণনাকেন্দ্রের বাইরে আবির খেলায় মেতে ওঠেন নেতা-কর্মীরা। ছবি: চিরঞ্জীব দাস

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ৩০ নভেম্বর ২০১৯ ০২:৩১
Share: Save:

তিন বিধানসভার উপনির্বাচনে পরাজয়ের কারণ খুঁজতে আজ, শনিবার বৈঠকে বসছে বিজেপি। তবে বৈঠকের আগে দলের অন্দরে ঘরোয়া চর্চায় ওই পরাজয়ের কারণ হিসাবে উঠে আসছে নেতা-কর্মীদের ঔদ্ধত্য, হুমকি, যোগ্য ব্যক্তিদের কাজে না লাগানোর প্রসঙ্গ। সোশ্যাল মিডিয়াতেও চলছে আত্মসমালোচনা। কালিয়াগঞ্জ, করিমপুর এবং খড়্গপুর (সদর)— তিন বিধানসভা কেন্দ্রে পরাজয় বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ-সহ অন্যান্য নেতাদেরও পদে টান দেবে কি না, সেই প্রশ্নও দলের ভিতরে উঠে গিয়েছে।

উপনির্বাচনে পরাজয়ের পর লোকসভার তিন বিজেপি প্রার্থী সোশ্যাল মিডিয়ায় দলের দিকে আঙুল তুলেছেন। দক্ষিণ কলকাতা লোকসভার দলীয় প্রার্থী চন্দ্র বসু টুইটে লিখেছেন, ‘‘দেশের অন্যত্র যে কৌশল সফল হচ্ছে, স্বামী বিবেকানন্দ এবং নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর ভূমিতে তা সফল হবে না। নিজেদের জয়ের স্বার্থে বাংলার মানুষকে শুধু ভোটব্যাঙ্ক হিসাবে না দেখে রাজনৈতিক দলগুলির উচিত এখানকার প্রকৃত উন্নয়ন এবং পরিকাঠামো তৈরিতে মন দেওয়া।’’ পরে তিনি বলেন, ‘‘ধর্মকে রাজনীতিতে ব্যবহার করা উচিত নয়।’’ যাদবপুর লোকসভার বিজেপি প্রার্থী অনুপম হাজরার ফেসবুক-মন্তব্য, ‘‘মনটা বড় করুন, পুরনোরা নতুনদের আপন করে নিন, নতুনরা পুরনোদের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হোন, লবিবাজি বন্ধ করুন, দক্ষ সংগঠকদের যোগ্য জায়গা দিন।’’ হাওড়া লোকসভার বিজেপি প্রার্থী তথা আরএসএস-এর একটি পত্রিকার সম্পাদক রন্তিদেব সেনগুপ্ত ফেসবুকে লিখেছেন, ‘‘অতিরিক্ত আত্মসন্তুষ্টি এবং আত্মম্ভরিতাই বিপর্যয়ের কারণ। উপনির্বাচনের ফলাফল সেটাই বলছে।’’

রাজ্য বিজেপির একাংশ বহু দিন ধরেই সাংগঠনিক দুর্বলতা, কাজের লোকের বদলে নেতৃত্বের কাছের লোককে পদ দেওয়া ইত্যাদি বিষয়ের সমালোচনায় দলের ভিতরে মুখর। উপনির্বাচনে হারের পর তাদের প্রশ্ন, এর পরেও কেন নেতৃত্বে বড় রদবদল হবে না? এখন দেশে বিজেপির সাংগঠনিক নির্বাচন চলছে। ওই অংশের বক্তব্য, ২০২১-এর বিধানসভা ভোটের আগে ত্রুটি মেরামত করতে হলে সাংগঠনিক নির্বাচনের মধ্য দিয়ে এখনই নেতৃত্বে বদল আনা প্রয়োজন। খড়্গপুর (সদর)-এর প্রাক্তন বিধায়ক তথা দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপবাবু সাংসদ হয়ে যাওয়ায় ওই কেন্দ্রে উপনির্বাচন হয়েছে। দলের একটি সূত্রের দাবি, সেখানে প্রেমচন্দ ঝা’কে প্রার্থী করায় দলের অনেকের আপত্তি থাকলেও রাজ্য নেতৃত্ব শুধু তাঁর নামই পাঠিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে। এখন হারের পরে সেই প্রসঙ্গ তুলেও দলের অন্দরে নিশানা করা হচ্ছে দিলীপবাবু-সহ রাজ্য নেতৃত্বকে। দিলীপবাবু অবশ্য জানিয়েছেন, খড়্গপুর (সদর)-এর জন্য একাধিক নাম রাজ্য থেকে গিয়েছিল। তবে কেন্দ্রীয় নেতাদের সমীক্ষায় প্রেমচন্দের নাম আসায় তাঁকে প্রার্থী করা হয়।

বিধানসভা উপনির্বাচনের ফল বেরনোর আগেই অবশ্য রাজ্য বিজেপির কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয় দলীয় সাংসদদের বৈঠকে বলেছিলেন, এক বার ভোটে জেতা সহজ। কিন্তু দ্বিতীয় বার জেতা কঠিন। যে কারণে প্রত্যেক সাংসদকে তাঁর নিজের কেন্দ্রের পাশাপাশি আরও একটি করে লোকসভার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

অন্য বিষয়গুলি:

By Election TMC BJP West Bengal
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy