অভিযোগ পুরোপুরি ঠিক নয় বলে জানিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ ।
রাজ্য বিজেপিতে শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ ওঠার পর থেকে মহা অস্বস্তিতে বঙ্গ বিজেপির নেতৃত্ব। সে অস্বস্তি যেন চেষ্টা করেও কিছুতেই চাপতে পারছেন না গেরুয়া নেতৃত্বরা। বিজেপির লিগাল সেলের ইনচার্জ তথা একুশের বিধানসভা নির্বাচনে বালিগঞ্জে বিজেপি প্রার্থী লোকনাথ চট্টোপাধ্যায়-সহ মোট চার জনের বিরুদ্ধে শারীরিক নিগ্রহের অভিযোগ এনেছেন বিজেপিরই আইটি সেলের কর্মী তথা যুবনেতা মণীশ বিস্সা। অভিযোগ প্রকাশ্যে আসার পরই বেশ খানিকটা থতমত খেয়ে যান রাজ্য বিজেপির নেতৃত্ব। এই বিষয়ে রাজ্য বিজেপির নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করলেও তাঁরা মুখ খুলতে চাইনি। পরে অবশ্য কিছুটা ধাতস্থ হয়ে রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘এই বিষয়ে আামার সম্যক ধারনা নেই। আমি দলের সঙ্গে কথা বলেছি। দল জানিয়েছে আইন আইনের পথে চলবে। তদন্তও হবে। যত দিন পর্যন্ত না লোকনাথ নির্দোষ প্রমাণিত না হন বা পুরো বিষয়টি পরিষ্কার না হয়ে যায় তত দিন পর্যন্ত উনি দায়িত্বে থাকবেন না। উনি স্বইচ্ছায় দায়িত্ব থেকে সরে থাকবেন।’’
বিজেপির অস্বস্তি আরও স্পষ্ট হয়, যখন দলের পক্ষ থেকে জানানো হয় যে, বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ছাড়া এই বিষয়ে আরও কেউ মন্তব্য করবেন না।
এই বিষয়ে শনিবার সুকান্ত বলেন, “লোকনাথকে পদ থেকে সরানো হয়নি। অভিযোগ পুরোপুরি ঠিক নয়। অভিযোগের যে সারবত্তা নেই, তার প্রমাণ এসেছে। আপাতত কাজ থেকে সাময়িক ভাবে সরে আছেন। উনিই পদ থেকে সরতে চেয়েছেন।”
তবে রাজ্য বিজেপির তরফে বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে বলে দলীয় সূত্রে খবর। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বিজেপির কোর কমিটির সদস্যদের সঙ্গেও এ নিয়ে ইতিমধ্যেই বৈঠক করেছেন সুকান্ত।
প্রসঙ্গত, যৌন হেনস্থার শিকার হয়েছেন বলে দাবি করে লোকনাথ-সহ রাকেশ কুমার, রাহুল এবং বিনোদ সিংহের বিরুদ্ধে পোস্তা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন মণীশ। অভিযোগকারীর দাবি, দলের কাজ বলে সিকিম নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। সেখানে তাঁর উপর শারীরিক নির্যাতন চালান লোকনাথ-সহ বাকি অভিযুক্তেরা। কেড়ে নেওয়া হয় ফোন এবং যাবতীয় নথি। কোনও রকমে সেখান থেকে পালিয়ে আরপিএফ-এর সাহায্যে ফোন উদ্ধার করেন তিনি। তার পর কলকাতায় ফিরে রাজ্য বিজেপির সভাপতিকে জানান। শেষমেশ থানায় যান। মণীশের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ একাধিক ধারায় মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে।
বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডাকেও ইমেল পাঠিয়ে অভিযোগ জানিয়েছেন মণীশ।
অভিযোগ প্রকাশ্যে আসার পর থেকে খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না লোকনাথের। এমনকি, দলের পক্ষ থেকেও লোকনাথের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করে পাওয়া যায়নি বলে সূত্রের খবর। তবে দলের সঙ্গে যোগাযোগ করে লোকনাথ পুরো বিষয়ে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করেছেন বলেও খবর।
লোকনাথ ঘনিষ্ঠদের দাবি, বিজেপির লিগাল সেলের ইনচার্জের বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ মিথ্যা। এর পিছনে নিশ্চয়ই অন্য উদ্দেশ্য আছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy