পশ্চিমবঙ্গেও বিজেপি-কে প্রধান প্রতিপক্ষ মনে করছে সিপিআইএমএল। নিজস্ব চিত্র।
পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা ভোটের লড়াইয়ে বিজেপি-তৃণমূলকে এক সারিতে রাখার পক্ষে তাঁরা নন, আলিমুদ্দিনের এক কিলোমিটার দূরের সভা থেকে বুধবার ফের জোরালো ভাবে এই বার্তা দিল সিপিআইএমএল (লিবারেশন)। বিহার ভোটে অভাবনীয় ভাল ফলের পর, সেখানকার দলীয় বিধায়কদের কলকাতায় সংবর্ধনা দিল লিবারেশনের ছাত্র সংগঠন আইসা। সেখানে লিবারেশনের সাধারণ সম্পাদক দীপঙ্কর ভট্টাচার্য-সহ অন্য বক্তাদের আক্রমণের লক্ষ্য ছিল বিজেপি-ই।
বিহারে ‘মহাগঠবন্ধন’ ক্ষমতা দখল করতে না পারলেও, চমকে দেওয়া ফল করেছে লিবারেশন। নিজেদের ওই সাফল্যকে তুলে ধরে এখন বাংলার ভোটে নজর দিতে চাইছে বৃহত্তর বাম জোটের এই শরিক দলটি। তবে বিহারের মতো পশ্চিমবঙ্গেও তারা বিজেপি-কে প্রধান প্রতিপক্ষ মনে করছে, রাজ্যের শাসকদল তৃণমূলকে নয়। অন্যদিকে বিজেপি ও তৃণমূল উভয়দলের বিরুদ্ধেই সমানভাবে লড়ার কথা বলছে সিপিএম-কংগ্রেস।
বুধবারের সভা থেকে বিজেপিকেই আক্রমণের প্রধান লক্ষ্য করে লিবারেশন নেতৃত্ব। একবারও তৃণমূলের নাম তাঁরা উচ্চারণ করেননি। বিহারের কথা মনে করিয়ে দীপঙ্কর ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘বিহার নির্বাচনে বামপন্থীদের দেশদ্রোহী, চিনের দালাল, টুকরো টুকরো গ্যাং বলে মিথ্যে প্রচার চালিয়েছে বিজেপি। সেখানে আমরা মানুষের কাজের কথা, কৃষকদের কথা, শিক্ষার কথা, সংবিধান রক্ষার কথা বলেছি। আর তাতেই বিজেপি-কে হারিয়ে আমাদের সাফল্য এসেছে।’’
আরও পড়ুন: মনে হল দিদি আমাদের উপর একটু রেগে গেলেন, বলছেন সোনালিরা
কলকাতায় বুধবারের জনসভায় লিবারেশনের জয়ী ১২ জন বিধায়কের মধ্যে ৫ জন উপস্থিত ছিলেন। ওই ৫ জন হলেন সন্দীপ সৌরভ, মনোজ মঞ্জিল, মেহবুব আলম, সত্যদেব রাম ও বীরেন্দ্র গুপ্ত। এ ছাড়া উপস্থিত ছিলেন আইসার রাজ্য সম্পাদক শৈলেন্দ্র মিত্র। নিজের জয় প্রসঙ্গে মনোজ মঞ্জিল বলেন, ‘‘বিহারের স্কুল শিক্ষা নিয়ে সরব হয়েছিলাম। এনডিএ সরকারের আমলে গ্রামাঞ্চলে কী ভাবে শিক্ষা ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে তা মানুষের সামনে তুলে ধরেছিলাম। এর ফলেই মানুষ জয়ী করেছেন।’’ আবার বিজেপি-রবিরুদ্ধে সাম্প্রদায়িক রাজনীতির অভিযোগ তুলে লড়াইয়ের কথা জানিয়েছেন মেহবুব আলম। তাঁর মতে, বিজেপির ফ্যাসিবাদী সাম্প্রদায়িক রাজনীতিকে কবর দেওয়ার শপথ নিয়ে নিয়েছিলাম। মানুষ তা মেনে নিয়েছে।
আরও পড়ুন: উপড়ে ফেলেই ছাড়ব, কলকাতায় এসেই মমতাকে নিশানা নড্ডার
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy