—প্রতীকী ছবি।
রবিবার টেটের দিন মালদহের একটি পরীক্ষাকেন্দ্র থেকে ধৃত ভুয়ো পরীক্ষার্থী পুষ্পাঞ্জলি কুমারী-সহ দু’জনের মাধ্যমে পরীক্ষার দিন সমাজ মাধ্যমে প্রশ্ন ছড়ানো হয়েছিল কিনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। প্রশ্ন ফাঁসের সঙ্গে পরীক্ষাকেন্দ্রের কোনও কর্মী জড়িত আছেন কিনা, তাও দেখা হচ্ছে। মঙ্গলবার এমনটাই জানিয়েছেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি গৌতম পাল। গৌতম বলেন, ‘‘যাঁরা ধরা পড়েছেন, তাঁদের চক্র কী ভাবে কাজ করে তা দেখা হচ্ছে। ওই কলেজের কোনও কর্মীও ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকতে পারেন।’’
জেলার কয়েকটি পরীক্ষাকেন্দ্র থেকে প্লাস্টিকে মোড়া মোবাইলও উদ্ধার হয়েছে। উত্তর দিনাজপুরে একটি পরীক্ষাকেন্দ্রে টেট চলাকালীন এক পরীক্ষার্থী শৌচাগারে লুকিয়ে রাখা ফোন দেখে উত্তর লিখতে গিয়ে ধরা পড়েছেন। পর্ষদ সভাপতির প্রশ্ন, এই মোবাইলগুলো কী ভাবে পরীক্ষাকেন্দ্রের ভিতরে এল? পরীক্ষার দিন মোবাইল নিয়ে ঢোকা নিষিদ্ধ ছিল। পরীক্ষার আগের দিন কেউ মোবাইল পরীক্ষাকেন্দ্রে গোপনে রেখে আসেনি তো? গৌতমের দাবি, সে ক্ষেত্রে পরীক্ষাকেন্দ্রের কর্মীর জড়িত থাকার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যায় না।
উল্লেখ্য রবিবার রাজ্যের প্রায় ৮০০ পরীক্ষাকেন্দ্রে টেট হয়েছে। গৌতমের প্রশ্ন, এতগুলো পরীক্ষাকেন্দ্রের মধ্যে একজন কর্মীও যদি অসৎ আচরণ করেন, তা হলে কী ভাবে আটকানো যাবে? পর্ষদ কর্তার মতে, ‘‘বেলা বারোটার আগে প্রশ্ন সমাজ মাধ্যমে বের হয়ে গেলে তার দায়িত্ব অবশ্যই পর্ষদের ছিল। কিন্তু বারোটার পরে প্রশ্ন চলে যায় লক্ষ লক্ষ পরীক্ষার্থীর হাতে, পরীক্ষকদের হাতে। ফলে তখন প্রশ্ন ফাঁস হয়ে গেলে তার দায় পর্ষদ নিতে পারে না।’’
পর্ষদের দাবি, পরীক্ষা চলাকালীন প্রশ্ন সমাজ মাধ্যমে বেরিয়ে গেলেও পরীক্ষার্থীরা উপকৃত হয়নি। প্রশ্ন উঠেছে, পরীক্ষাকেন্দ্রের ভিতরে যে সব পরীক্ষার্থীদের কাছে মোবাইল রয়ে গিয়েছিল, ফাঁস হয়ে যাওয়া প্রশ্নের উত্তর তো সঙ্গে সঙ্গে তাঁদের কাছেও চলে আসতে পারত। এর উত্তরে পর্ষদ কর্তা বলেন, ‘‘এ বার যা প্রশ্ন হয়েছিল, তাতে প্রশ্ন দেখে সঙ্গে সঙ্গে কোনও কোচিং সেন্টার বা বিশেষজ্ঞরা উত্তর লিখতে পারতেন না। তাঁদের অনেক ভেবে উত্তর লিখতে হত। সুতরাং প্রশ্ন পেয়েই উত্তর লিখে মোবাইলে ছড়িয়ে দেওয়ার সম্ভবনা ছিল না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy