ছবি: সংগৃহীত।
সূচনায় শীত হোঁচট খেয়েছিল আরব সাগরের ঘূর্ণিঝড় ‘পবন’-এর ধাক্কায়। তার পরে শৈত্যপ্রবাহের ছক্কা হাঁকিয়ে দাপট জানান দিচ্ছিল সে। বড়দিনের মেঘবৃষ্টিতে কিছুটা দমে গেলেও মেঘ কাটতেই স্বমেজাজে ফিরতে চলেছে শীত। ফের শৈত্যপ্রবাহের মুখে পড়তে চলেছে গাঙ্গেয় বঙ্গ। তবে মাঝপৌষে আবার বৃষ্টির আশঙ্কাও আছে।
আলিপুর আবহাওয়া দফতর শুক্রবার জানিয়েছে, আজ, শনিবার ও কাল, রবিবার উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের বেশির ভাগ জেলাতেই শৈত্যপ্রবাহ বইবে। তার পাশাপাশি শীতল দিনের সতর্কতাও জারি করেছে হাওয়া অফিস। সব মিলিয়ে বর্ষশেষে জাঁকিয়ে শীত উপভোগ করতে পারবে রাজ্য।
আবহবিদেরা জানান, রাজ্যের উপর দিয়ে পশ্চিমি ঝঞ্ঝা বয়ে গিয়েছে। বাধামুক্ত হয়েছে উত্তুরে হাওয়ার পথ। তার জেরেই রাতে পতন হবে পারদের। বিভিন্ন জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা স্বাভাবিকের তুলনায় চার থেকে ছয় ডিগ্রি কম থাকবে। আবহবিজ্ঞানের পরিভাষায় শীতকালে রাতের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা যদি ১০ ডিগ্রি বা তার নীচে পৌঁছয় এবং তা যদি স্বাভাবিকের থেকে ন্যূনতম পাঁচ ডিগ্রি কম হয়, সেটাকেই বলে শৈত্যপ্রবাহ। রাতের তাপমাত্রা যদি ১০ ডিগ্রিতে পৌঁছয় ও সেই অবস্থায় দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা যদি স্বাভাবিকের থেকে পাঁচ ডিগ্রি কম থাকে, তা হলে বলা হয় শীতল দিন। বর্ষশেষে দু’টিরই সম্ভাবনা প্রবল।
আরও পড়ুন: অচেনা মুখের ভিড় বাড়ে শীত-সীমান্তে
শীতের দ্বিতীয় ইনিংসের মধ্যেই পশ্চিমবঙ্গ আবার অকালবৃষ্টির কবলে পড়তে চলেছে বলেও জানাচ্ছেন আবহবিজ্ঞানীরা। হাওয়া অফিস জানায়, ২০২০-র প্রথম দিন থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় বৃষ্টি শুরু হবে। চলবে অন্তত ৩ জানুয়ারি পর্যন্ত। অনেকেরই প্রশ্ন, এই সবে মেঘবৃষ্টির পালা শেষ হল। তা হলে মাঝপৌষে আবার বৃষ্টি কেন? হাওয়া অফিস জানাচ্ছে, ফের একটি পশ্চিমি ঝঞ্ঝা (ভূমধ্যসাগরীয় এলাকা থেকে বয়ে আসা ঠান্ডা ভারী জোলো হাওয়া) রাজ্যের দিকে বয়ে আসবে। তার সঙ্গে সাগরের বাতাসের সংমিশ্রণে আবার মেঘ ও বৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy