শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। ফাইল চিত্র।
স্কুল সার্ভিস কমিশন বা এসএসসি-র পরীক্ষায় উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীদের নিয়োগের দাবির কতটা ন্যায্য, তা বিচার-বিবেচনার সঙ্গে আইনি প্রক্রিয়াও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বিকাশ ভবনে এসএসসি-র কর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের পরে এ কথা জানান শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। “এসএসসি চাকরিপ্রার্থীদের প্রতি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও সরকার সহানুভূতিশীল এবং মানবিক,” বলেন শিক্ষামন্ত্রী।
নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষকপদে এসএসসি-র পরীক্ষা পাশ প্রার্থীরা সল্টলেকের সেন্ট্রাল পার্কের পাঁচ নম্বর গেটের কাছে মঞ্চ বেঁধে ১৮৮ দিন ধরে চাকরির দাবিতে রিলে অনশন ও বিক্ষোভ চালাচ্ছেন। অভিযোগ, এসএসসি-কর্তৃপক্ষ ও শিক্ষা দফতরের কাছে বার বার দাবি জানিয়েও লাভ হয়নি। এ দিন ব্রাত্যবাবু জানান, শিক্ষা দফতর বিষয়টি দ্রুত খতিয়ে দেখবে।
এসএসসি-র চেয়ারম্যান শুভশঙ্কর সরকার জানান, চাকরিপ্রার্থীদের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে তাঁরা নিয়মিত কথা বলছেন। যে-সব চাকরির জন্য তাঁরা আবেদন করেছেন, সেই সব ক্ষেত্রে কত পদ শূন্য আছে, তা খতিয়ে দেখে এবং দাবির ন্যায্যতা বিচার করে ব্যবস্থা হবে। শুভশঙ্করবাবু বলেন, “প্রতি বছর এসএসসি পরীক্ষা নেওয়া যায় কি না, সেই বিষয়েও এ দিনের বৈঠকে শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা হয়েছে।”
অন্য দিকে, এ বার উচ্চ প্রাথমিকে শিক্ষকপদের ইন্টারভিউয়ে অন্তত ১৮০০ প্রার্থী অনুপস্থিত ছিলেন। যেখানে দ্রুত নিয়োগের জন্য এসএসসি পাশ চাকরিপ্রার্থীদের আন্দোলন চলছে, সেখানে উচ্চ প্রাথমিকের এই নিয়োগ প্রক্রিয়ার ইন্টারভিউয়ে উল্টো ছবি কেন? শুভশঙ্করবাবু বলেন, “উচ্চ প্রাথমিকে এই নিয়োগ প্রক্রিয়া ২০১৬ সাল থেকে চলছে। এই পাঁচ বছরে হয়তো অনেকে অন্য চাকরি পেয়ে গিয়েছেন। অনেক মহিলা প্রার্থীর অন্য রাজ্যে বিয়ে হয়ে থাকতে পারে। তা ছাড়া তেলুগু মাধ্যম স্কুলে বাংলার শিক্ষকের মতো কিছু বিশেষ ধরনের ক্যাটেগরিতে প্রার্থীও কম থাকে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy