এসসএসসির গ্রুপ সি এবং গ্রুপ ডি বিভাগের শূন্যপদে অবিলম্বে যোগ্যপ্রার্থীদের নিয়োগের নির্দেশ দিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। বুধবার তিনি জানিয়েছেন, পুজোর আগেই ওই পদে যোগ্য চাকরিপ্রার্থীদের নিয়োগ করতে হবে। ২৮ সেপ্টেম্বরের মধ্যে, চাকরিপ্রার্থীদের কাউন্সেলিং প্রক্রিয়াও শুরু করতে হবে।
কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশেই এর আগে গ্রুপ ডি অর্থাৎ স্কুলের চতুর্থ শ্রেণির কর্মী হিসাবে চাকরি পাওয়া ৫৭৩ জনের বেআইনি নিয়োগ বাতিল করা হয়েছিল। এমনকি, চাকরি বাতিল হওয়া কর্মীদের বেতনের টাকা ফেরত দেওয়ার নির্দেশও দিয়েছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। বুধবার ওই ৫৭৩টি শূন্যপদেই মেধার ভিত্তিতে ওয়েটিং লিস্টে থাকা প্রার্থীদের চাকরি দিতে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। একই সঙ্গে গ্রুপ সি বিভাগেও বেআইনি ভাবে নিয়োগ হওয়া ৩৫০টি পদে প্রকৃত যোগ্য প্রার্থীদের চাকরি দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। আগামী ২৮ সেপ্টেম্বরের মধ্যে এই ৫৭৩+৩৫০ অর্থাৎ মোট ৯২৩টি পদে চাকরি দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এসএসসিকে।
আরও পড়ুন:
-
বেআইনি চাকরির সংখ্যা জানান, যোগ্যদের চাকরি দিতে হবে, দুই সংস্থাকে নির্দেশ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের
-
কেক কাটতে তরোয়াল! জন্মদিনে কিশোরের ‘শখে’ অস্ত্র আইনে দায়ের হল অভিযোগ
-
দেড় মাসের লড়াইয়ে ইতি, দিল্লির হাসপাতালে প্রয়াত বলিউডের কৌতুকশিল্পী রাজু শ্রীবাস্তব, বয়স হয়েছিল ৫৮
-
ফুটপাথবাসীদের পিষে দিল ট্রাক! গতিমত্ত গাড়ির ধাক্কায় রাজধানীতে মৃত্যু চার জনের, জখম তিন
-
অনুব্রতের আদালতে হাজিরার দিন বোলপুরে সিবিআইয়ের ডাক ব্যাঙ্ক আধিকারিকদের, নজরে ন’কোটি
বুধবার এসএসসি-র গ্রুপ ডি মামলার শুনানি ছিল কলকাতা হাই কোর্টে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের বেঞ্চে। মামলাটির শোনার পর অবশ্য তিনি ২৮ সেপ্টেম্বরের মধ্যেই এই ৯২৩ জনকে চাকরি দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করতে বলেছিলেন। কিন্তু এসএসসির তরফে আদালতকে জানানো হয় পুজোর আগে এত দ্রুত এই ৯২৩ জনকে চাকরি দেওয়া সম্ভব নয়। সময় খুবই কম। তার পরই বিচারপতি জানিয়ে দেন, পুজোর আগে চাকরি দেওয়া সম্ভব না হলেও এসএসসিকে চাকরি দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করে দিতে হবে। শূন্যপদের সংখ্যা স্পষ্ট করে জানিয়ে বিজ্ঞাপ্তি জারি করে কাউন্সেলিংয়ের প্রক্রিয়াও শুরু করতে হবে।
উল্লেখ্য, বুধবারই এসএসসির আরও একটি মামলায় বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বেআইনি নিয়োগের তালিকা চেয়ে পাঠিয়েছেন এসএসসি এবং সিবিআইয়ের কাছে। নবম এবং দশম শ্রেণির শিক্ষক হিসাবে বেআইনি নিয়োগ বাতিল করে যোগ্যদের চাকরি দিতে হবে বলেও সেই মামলায় মন্তব্য করেন বিচারপতি।