রাজ্যের জয়েন্ট এন্ট্রান্সের ফল প্রকাশিত হল। চলতি বছরের ২ ফেব্রুয়ারি পরীক্ষা হয়। করোনা পরিস্থিতিতে সেই ফল প্রকাশে বিলম্ব হচ্ছিল। ইতিমধ্যেই উচ্চ মাধ্যমিকের ফল প্রকাশ হয়ে গিয়েছে। এ বার রাজ্যে ইঞ্জিনিয়ারিং জয়েন্ট এন্ট্রান্সের ফল প্রকাশের পর দ্রুত কাউন্সিলিংয়ের প্রক্রিয়াও শেষ করতে চাইছে রাজ্য জয়েন্ট এন্ট্রান্স বোর্ড।

www.wbjeeb.in এবং www.wbjeeb.nic.in এই দুটি ওয়েবসাইট থেকে র‌্যাঙ্ক কার্ড ডাউনলোড করতে পারবেন ছাত্রছাত্রীরা। ফল প্রকাশের পর অনলাইনে কাউন্সেলিং হবে। ১২ অগস্ট কাউন্সেলিংয়ের সম্ভাবনা রয়েছে। নির্দিষ্ট দিন জানিয়ে দেওয়া হবে বোর্ডের ওয়েবসাইটে। এ বার প্রায় ১৭ হাজার কমন সার্ভিস সেন্টারের মাধ্যমে অন লাইনে কাউন্সেলিংয়ে অংশগ্রহণ করতে পারবেন ছাত্রছাত্রীরা।

• এ বছর কাউন্সেলিংয়ের জন্য কোনও টাকা লাগছে না।

• পড়ুয়ারা অনলাইনে কাউন্সেলিংয়ের প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারবেন। রাজ্যে ১৭ হাজার ২৮৮টি কমন সার্ভিস সেন্টার রয়েছে। ওই সব সেন্টারের মাধ্যমে কাউন্সেলিংয়ে অংশ গ্রহণ করা যাবে।

• যাঁরা র‌্যাঙ্ক করবেন তাঁদের কাউন্সেলিংয়ের রেজিস্ট্রেশনের জন্য কোনও টাকা লাগবে না।

• এই কমন সার্ভিস সেন্টারগুলির মাধ্যমে কাউন্সেলিং এবং রেজিস্ট্রেশনের সময় দিতে হবে না কোনও ফি।

• সরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং ও ফার্মাসি কলেজ রয়েছে ১০টি। সে গুলিতে মোট আসন সংখ্যা ২,০৫৩।

• বেসরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং ও ফার্মাসি কলেজ রয়েছে ৮৬টি। সেখানে মোট আসন সংখ্যা ২৮ হাজার ৪৯৩।

• সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে ১১ টি। আসন সংখ্যা ২,২৮৩।

• ন’টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে মোট আসন সংখ্যা ২,০৬২।

• সব মিলিয়ে রাজ্যের ১১৬টি প্রতিষ্ঠানে মোট আসন সংখ্যা ৩৪ হাজার ৮৯১।

• জয়েন্ট এন্ট্রান্সে মেধাতালিকায় প্রথম স্থান অধিকার করেছেন সৌরদীপ দাস। দেওঘরের রামকৃষ্ণ মিশন বিদ্যাপীঠের ছাত্র তিনি। তাঁর বাড়ি উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জে।

• দ্বিতীয় স্থানে দুর্গাপুরের ডিএভি মডেল স্কুলের ছাত্র শুভম ঘোষ। পশ্চিম বর্ধমানের বাসিন্দা তিনি।

• মেধাতালিকার তৃতীয় স্থানে রয়েছে সীমান্তি দে। রুবি পার্কের দিল্লি পাবলিক স্কুলের ছাত্রী তিনি। তাঁর বাড়ি কলকাতার ঢাকুরিয়াতে।

• সাউথ পয়েন্ট হাই স্কুলের উৎসব বসু জয়েন্টে চতুর্থ হয়েছেন। বাড়ি হাওড়ার সাঁতরাগাছিতে।

• পঞ্চম স্থানে রয়েছেন বাঁকুড়ার পূর্ণেন্দু সেন। সে দুর্গাপুরের ডিএভি মডেল স্কুলের পড়ুয়া।

• মেধাতালিকার ষষ্ঠ স্থান কলকাতার অঙ্কুর ভৌমিকের দখলে। অঙ্কুর রুবি পার্কের দিল্লি পাবলিক স্কুলের ছাত্র।

• সপ্তম হয়েছেন সল্টলেকের সোহম সমাদ্দার। গার্ডেন হাই স্কুলের ছাত্র তিনি।

• মেধাতালিকারর অষ্টমে রয়েছেন বেহালা আর্য বিদ্যামন্দিরের অরিত্র মিত্র।

• তালিকার নবমে সল্টলেকের সেন্ট জোন্স স্কুলের গৌরিক মাসকারা। তাঁর বাড়ি কাঁকুড়গাছিতে।

• তালিকার দশমে রয়েছেন হাওড়ার শিবপুরের অর্ক দত্ত। তিনি লাল বাহাদুর শাস্ত্রী সিনিয়র সেকেন্ডারি স্কুলের ছাত্র।

• পরীক্ষার জন্য আবেদন করেছিলেন ৮৮ হাজার ৮০০ জন।

• ৭৩ হাজার ১১৯ জন বসেছিলেন পরীক্ষায়। তাদের মধ্যে ৭২ হাজার ২৯৮ জন র‌্যাঙ্ক করেছে।

আরও পড়ুন: হাসপাতাল যেতে দেরি, তাই করোনায় বিপত্তি: মুখ্যসচিব

আরও পড়ুন: রাজ্যে ডাক্তার, নার্স পদে এ বার সরাসরি নিয়োগ