—প্রতীকী ছবি।
প্রত্যেক বছরের মতো এ বারেও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের বাংলা, ইংরেজি-সহ প্রথম ও দ্বিতীয় ভাষার সমস্ত বই বিনামূল্যে দেওয়ার কথা। সেই বইগুলো এখনও স্কুলে পৌঁছোয়নি। এ দিকে গরমের ছুটির পরে একাদশের ক্লাস ১০ জুন শুরু হওয়ার কথা। তাই এ বার বিকল্প হিসেবে সংসদ তাদের ওয়েবসাইটে প্রথম ও দ্বিতীয় ভাষার সমস্ত বই পিডিএফ করে আপলোড করল।
সংসদের সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য বৃহস্পতিবার বলেন, “সংসদের ওয়েবসাইটে বাংলা, ইংরেজি-সহ প্রথম ও দ্বিতীয় ভাষার সমস্ত বই পিডিএফে মিলবে। পড়ুয়া ও শিক্ষক-শিক্ষিকারা সেই বই ডাউনলোড করতে পারবে।”
প্রশ্ন উঠেছে, শহরের সিংহভাগ পড়ুয়া এখন কেন্দ্রীয় বোর্ডের অধীনে। গ্রামাঞ্চলের পড়ুয়াদের পক্ষে বই আপলোড করে পড়া কি সম্ভব? আরও প্রশ্ন, পিডিএফ ডাউনলোড করে পাঠ্য বই কেন পড়তে হবে? কেন প্রথম ও দ্বিতীয় ভাষার বইগুলি এখনও স্কুলে এসে পৌঁছল না?
সিমেস্টার পদ্ধতিতে পাঠ্যপুস্তকে প্রচুর পরিবর্তন হয়েছে। তাই পড়ুয়াদের সুবিধার জন্য বাংলা, ইংরেজি-সহ প্রথম ও দ্বিতীয় ভাষার সমস্ত বই অনেক আগেই স্কুলে চলে আসা উচিত ছিল বলে মনে করছেন শিক্ষকদের একাংশ। শিক্ষক নেতা নবকুমার কর্মকারের মতে, “গ্রামাঞ্চলে কত জন পড়ুয়ার ল্যাপটপ রয়েছে যে তারা ডাউনলোড করে পড়বে? মোবাইল থেকেও হয়তো ডাউনলোড করা যায়, কিন্তু অনেক গরিব পড়ুয়ার বাড়িতে হয়তো একটাই স্মার্ট ফোন রয়েছে। সেই ফোন তার বাবা বা অন্য কেউ কাজে নিয়ে যান। সে ডাউনলোড করে কখন পড়াশোনা করবে? এখনও কেন সরকারের প্রথম ও দ্বিতীয় ভাষার বই স্কুলে এসে পৌঁছল না?” চিরঞ্জীব জানান, প্রথম ও দ্বিতীয় ভাষার বইয়ের সংখ্যা আট লক্ষেরও বেশি। ছাপার কাজ চলছে। জুনের শেষে তাঁরা বই পাবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
শুধু বাংলা বা ইংরেজি নয়, বিজ্ঞান, কলা এবং বাণিজ্য শাখার বেশিরভাগ বইও এখনও বাজারে অমিল। ফলে একাদশ শ্রেণির পড়ুয়ারা এখনও পড়াশোনা শুরুই করতে পারছে না বলে অভিযোগ। যদিও সংসদের দাবি, তাদের দেওয়া টিবি (টেক্সট বুক) নম্বর যুক্ত পাঠ্য বই বাজারে আসতে শুরু করেছে। জুন মাসেই সমস্ত বই পড়ুয়াদের হাতে চলে আসবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy