মাধ্যমিকের মেধাতালিকায় থাকা ব্রাত্যকে শুভেচ্ছা জানালেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য
মাধ্যমিকের মেধাতালিকায় ব্রাত্য বসু! সকালে তালিকা প্রকাশিত হওয়ার পর থেকে এ নিয়ে জল্পনার অন্ত ছিল না। মেধাতালিকায় শিক্ষামন্ত্রীর নাম দেখে অনেকেই বিষ্ময় প্রকাশ করেছিলেন। যদিও তা বেশি ক্ষণ স্থায়ী হয়নি। কিছু ক্ষণের মধ্যেই জানা গেল, মেধাতালিকায় অষ্টম স্থানে থাকা পড়ুয়ার নাম সত্যিই ব্রাত্য বসু। বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর হাই স্কুলের ছাত্র সে। এর পরেই রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল আনন্দবাজার অনলাইন। তিনি বলেন, ‘‘আমি তো কোনও দিন মাধ্যমিকে অষ্টম হওয়ার কথা ভাবতেই পারিনি!’’
বাঁকুড়ার কৃতী ব্রাত্য জানান, পাড়ায় এবং স্কুলে ‘শিক্ষামন্ত্রী’ বলেই ডাকাডাকি করা হয়। দু’-এক জন শিক্ষকও আদর করে তাকে ‘শিক্ষামন্ত্রী’ বলে থাকেন। তার নাম নিয়ে বিস্তর আলোচনা প্রসঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বললেন, ‘‘নামের মিল থাকতে পারে। কিন্তু ও আমার চেয়ে অনেক বেশি মেধাবী এবং গুণী ছাত্র। আমি তো কোনও দিন মাধ্যমিকে অষ্টম হওয়ার কথা ভাবতেই পারিনি!’’
ক্লাসের পরীক্ষায় বরাবরই সপ্তম বা অষ্টম স্থানে থাকত বাঁকুড়ার এই ব্রাত্যের নাম। তবে ক্লাসের সকল বন্ধুকে টপকে মাধ্যমিকে মেধাতালিকায় সে জায়গা করে নেবে, তা অনেকেই ভাবেননি। ঘটনাচক্রে, মাধ্যমিকেও অষ্টমই হয়েছে সে। পড়ুয়া ব্রাত্য বলছে, ‘‘ভাল ফল হবে আশা করেছিলাম। ভেবে ছিলাম ৬৭৫ মতো পাব। কিন্তু এখন দেখছি, ৬৮৬ নম্বর পেয়ে অষ্টম হয়েছি। ভীষণ ভাল লাগছে।’’
সবাই ‘শিক্ষামন্ত্রী’ বলে ডাকলেও রাজনীতিতে আসতে চায় না ব্রাত্য। তাঁর কথায়, ‘‘রাজনীতিতে আমার কোনও আগ্রহ নেই। পড়াশোনার পাশাপাশি ক্রিকেট খেলতে ভালোবাসি। বিরাট কোহলীর ব্যাটিং দেখতে দারুণ লাগে।আমার প্রিয় বিষয় জীবন বিজ্ঞান। আমার কাকু ও কাকিমা কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসক। আমিও চিকিৎসক হতে চাই।’’
ব্রাত্যের বাবা চণ্ডীদাস বসু প্রাক্তন সেনাকর্মী। বর্তমানে খড়গপুর আইআইটি-তে নিরাপত্তারক্ষীর কাজ করেন। মা শীলা বসু বাড়িতেই থাকেন। চণ্ডীদাস বলেন, ‘‘আমাদের পরিবারের সঙ্গে রাজনীতির কোনও যোগই নেই। আমরাও চাই ছেলে আগামী দিনে ডাক্তার হোক।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy