Advertisement
০২ নভেম্বর ২০২৪
Migrant Workers

Migrant Workers: ঘরে থাকুন পরিযায়ীরা, নয়া প্রকল্প গড়ছে রাজ্য

কোভিড পরিস্থিতির মধ্যেই একশো দিনের কাজের পরিধি বাড়িয়ে এই যুবকদের কিছুটা কাজের ব্যবস্থা করে রাজ্য সরকার।

পরিযায়ীদের জন্য রাজ্যেই কর্মসংস্থানের বার্তা দিলেন মমতা। ফাইল চিত্র।

পরিযায়ীদের জন্য রাজ্যেই কর্মসংস্থানের বার্তা দিলেন মমতা। ফাইল চিত্র।

সৌমিত্র কুণ্ডু
শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ২৬ অক্টোবর ২০২১ ০৬:৫৩
Share: Save:

কোভিডের সময় বিপুল সংখ্যক পরিযায়ীকে ঘরে ফেরার পথে নাজেহাল হতে হয়েছে। তখনই প্রশ্ন ওঠে, রাজ্যে এই যুবকদের কাজ নেই কেন? কোভিড পরিস্থিতির মধ্যেই একশো দিনের কাজের পরিধি বাড়িয়ে এই যুবকদের কিছুটা কাজের ব্যবস্থা করে রাজ্য সরকার। তার পরেও ভিন রাজ্যে যাওয়া বন্ধ হয়নি। এই পরিস্থিতিতে সোমবার প্রশাসনিক বৈঠক থেকে পরিযায়ীদের জন্য রাজ্যেই কর্মসংস্থানের বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

মমতা এক দিকে যেমন মুরগির সঙ্গে হাঁসের পোলট্রি থেকে শুরু করে তাঁত বা পাওয়ার লুম বাড়ানোর দিকগুলি খতিয়ে দেখতে বলেন প্রশাসনিক কর্তাদের, অন্য দিকে পরিযায়ীদের বোঝাতে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাগুলিকেও কাজে লাগাতে বলেন। কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে স্বনির্ভর গোষ্ঠীতে ছেলেদেরও জায়গা দিতে বলেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী কথায়, যে তরুণ ও যুবকেরা খুব বেশি দূর পড়াশোনা করেননি, অথচ ভিন্ রাজ্যে কাজ করতে যাচ্ছেন, তাঁদের এই ভাবে রাজ্যেই জায়গা দেওয়া হোক।

মুখ্যমন্ত্রীর এই আলোচনার ফল কতটা ইতিবাচক হবে, তাই নিয়ে মতভেদ রয়েছে প্রশাসনিক মহলে। তাঁদের অনেকেরই যুক্তি, কাশ্মীর বা কেরলে এক এক জন শ্রমিক যে বেতন ও সুযোগসুবিধা পায়, তার পরিমাণটা খুব কম নয়। সেই বেতন থেকে তাঁরা ভাল পরিমাণ টাকা নিয়মিত বাড়িতেও পাঠান। নিজে পোলট্রি বা কাপড়ের কাজ শুরু করলে প্রথম দিকে ততটা রোজগার করা খুব একটা সহজ নয়। অন্য দলের পাল্টা যুক্তি, একে তো কোভিডের পরে এই শ্রমিকদের ঘরে ফিরতে যথেষ্ট সমস্যায় পড়তে হয়েছে। তার উপরে বাইরে কাজের সময়ে নিয়মিত মাথার উপরে নানা বিপদ ঝোলে। অনেক শ্রমিকই বাইরে কাজের সময়ে নানা কারণে মারা যান। পরিযায়ীদের কাছে টানতে মুখ্যমন্ত্রী সেই জায়গাটাও এ দিন ধরতে চেয়েছেন।

মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘অনেক তরুণ আছেন, যাঁরা বাইরে নির্মাণ কাজ করতে চলে যাচ্ছেন। মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, কোচবিহার, উত্তর দিনাজপুর, আলিপুরদুয়ার থেকে। তাঁদের রাজ্যেই কাজ করতে বলুন। ওখানে থাকার ভাড়া, খাওয়ার খরচ, জীবনের ঝুঁকি আছে। এখানে নেই। এখানে রেশন, পড়াশোনা, স্বাস্থ্য নিখরচায়। ছেলেমেয়েদের ভবিষ্যৎ এখান থেকেই হবে।’’

এই বিষয়ের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট লোকজনেরা বলছেন, অল্প শিক্ষিত শ্রমিকদের রাজ্যে রেখে দিতে এবং কাজে লাগাতে পরিকল্পনাটি ইতিবাচক। তবে কত দিনে এটি পূর্ণাঙ্গ রূপ পাবে এবং কবে তার সুবিধা পরিযায়ীরা পাবেন, তা বলা মুশকিল। এই অনিশ্চয়তাই হয়তো পরিযায়ীদের ফের ভিন্ রাজ্যে যেতে বাধ্য করবে।

অন্য বিষয়গুলি:

Migrant Workers projects
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE