— প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে প্রশাসনিক তৎপরতা বাড়ানোর ইঙ্গিত দিল রাজ্য সরকার। শুক্রবার মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ বৈঠক করেন প্রত্যেক জেলাশাসক এবং জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিকদের সঙ্গে। সূত্রের দাবি, কোথায় কী খামতি রয়েছে, তা নথিবদ্ধ করেছেন মুখ্যসচিব। তাঁর বার্তা, চিকিৎসকদের (বিশেষ করে জুনিয়র) বোঝাতে হবে সরকারের ‘সদিচ্ছা’ সম্পর্কে। যাতে তাঁরা দ্রুত কাজে যোগ দেন।
জেলা প্রশাসনিক সূত্রের দাবি, সরকারি হাসপাতালের পরিকাঠামোর কোথায় কী সমস্যা রয়েছে, সবিস্তারে মুখ্যসচিব তা এ দিন জানতে চেয়েছিলেন। বেশিরভাগ জেলা প্রশাসন তাঁকে জানিয়েছে, নিরাপত্তা সংক্রান্ত পরিকাঠামোর ঘাটতি রয়েছে। প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম রয়েছে নিরাপত্তারক্ষীর সংখ্যা। পর্যাপ্ত আলো এবং সংশ্লিষ্ট পরিকাঠামোর অভাবও রয়েছে বেশিরভাগ জায়গায়। পরিচ্ছন্নতার দিকটিতেও নজর দেওয়ার প্রয়োজন রয়েছে বলে জানিয়েছে বেশিরভাগ জেলা প্রশাসন। মুখ্যসচিব প্রত্যেককে জানিয়েছেন, সমস্যার নিরিখে সংস্কারের প্রস্তাবগুলি পাঠাতে হবে নবান্নে। তার ভিত্তিতে দ্রুত অর্থ বরাদ্দ করবে রাজ্য সরকার, যাতে সময়মতো সেই পরিকাঠামো তৈরির কাজ শুরু করা যায়। এই সূত্রেই মুখ্যসচিবের বার্তা, প্রত্যেক ডাক্তারকে সরকারের ‘সদর্থক মনোভাব’-এর ব্যাপারে জানাতে হবে। বিশেষ করে জুনিয়র ডাক্তারদের পরিস্থিতি বুঝিয়ে কাজে যোগ দেওয়ানোর ব্যবস্থা করতে হবে।
সূত্রের দাবি, মনোজের নির্দেশ ছিল, প্রত্যেক সপ্তাহে প্রত্যেকটি হাসপাতালে পরিদর্শন করতে হবে জেলা কর্তাদের। পরিস্থিতি কী থাকছে, তার পুঙ্খানুপুঙ্খ তথ্য জানাতে হবে প্রশাসনের সর্বোচ্চ মহলকে। এ নিয়ে নিয়মিত বৈঠক করবেন মুখ্যসচিব। তথ্য সংগ্রহ করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করবে সরকার। যখন-তখন রোগীদের রেফার করা যাবে না বলেও বার্তা দেন তিনি। আর জি কর কাণ্ড-পরবর্তী আন্দোলনের প্রেক্ষিতে নবান্নের এই অবস্থান খুবই তাৎপর্যপূর্ণ বলে অভিজ্ঞ আধিকারিকদের অনেকের মত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy