—প্রতীকী চিত্র।
রাজ্যে গত এক বছরে একের পর এক বেআইনি বাজি কারখানায় বিস্ফোরণে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। এই পরিস্থিতিতে বাজি কারখানা ক্লাস্টারের আওতায় আনার কথা সরকারের তরফে ঘোষণা করা হলেও বাস্তবে কিছুই হয়নি। পুজোর শুরু থেকেই বিভিন্ন জায়গায় দেদার বেআইনি বাজি বিক্রি শুরু হয়ে যাওয়ায় পুলিশ-প্রশাসনের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন ওঠে। এই পরিস্থিতিতেই এ বার পুজো মিটতেই সবুজ বাজি প্রস্তুত, মজুত এবং বিক্রয় সংক্রান্ত একটি স্কিম ঘোষণা করল রাজ্য সরকার। আগামী পাঁচ বছরের জন্য এই স্কিমটি কার্যকর থাকবে বলে জানানো হয়েছে। একাধিক নির্দেশের পাশাপাশি স্কিমের কাজে নজরদারির জন্য জেলা এবং রাজ্যস্তরে দু’টি পৃথক কমিটি তৈরির নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।
স্কিম অনুযায়ী, সবুজ বাজির সমস্তটাই এই রাজ্যে ‘মাইক্রো, স্মল অ্যান্ড মিডিয়াম এন্টারপ্রাইজেস অ্যান্ড টেক্সটাইলস' (এমএসএমই) দফতরের অধীনে হবে। স্কিমটির নাম দেওয়া হয়েছে 'ওয়েস্ট বেঙ্গল গ্রিন ফায়ারক্র্যাকার ম্যানুফ্যাকচারিং, স্টোরেজ অ্যান্ড সেলিং স্কিম' বা ডব্লিউবিজিএফএমএসএস। এই স্কিমে সরকারি ফাঁকা জমি চিহ্নিত করে এমএসএমই দফতরকে ৩০ বছরের জন্য লিজ়ে সবুজ বাজির ক্লাস্টার তৈরি করার কাজে সাহায্য করবেন জেলা প্রশাসকেরা। যে সমস্ত ব্যবসায়ী নিজেদের কেনা জমিতে ক্লাস্টার তৈরি করার কাজ করবেন, তাঁদের মোট খরচের ৯০ শতাংশ সরকারের তরফে দিয়ে দেওয়া হবে তিনটি কিস্তিতে ভাগ করে। কিস্তির প্রথম টাকা দেওয়া হবে জমি মেরামত, জমির চার দিকে দেওয়াল তোলা এবং ভিতরে রাস্তা তৈরির কাজ শেষ হওয়ার পরে। দ্বিতীয় কিস্তির টাকা মিলবে ক্লাস্টারে বিদ্যুৎ সংযোগ আসা এবং নিকাশি ব্যবস্থা তৈরি হওয়ার পর। তৃতীয় এবং শেষ কিস্তি দেওয়া হবে সংশ্লিষ্ট জমিতে সমস্ত ইউনিট কার্যকর হওয়ার পরে। পাশাপাশি, স্কিমটিতে জানানো হয়েছে, এই রাজ্যের সমস্ত বাজি প্রস্তুতকারকের ‘ন্যাশনাল এনভায়রনমেন্টাল ইঞ্জিনিয়ারিং রিসার্চ ইনস্টিটিউট’ বা নিরি-র প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করবে সরকার। প্রশিক্ষণ সংক্রান্ত খরচও সরকারের তরফেই দেওয়া হবে। উৎসবের মরসুমে বিকল্প বাজি বাজার কোথায় বসতে পারে, সেটাও জেলা প্রশাসনের সিদ্ধান্তের উপর নির্ভর করবে বলে স্কিমের ঘোষণায় জানানো হয়েছে।
বাজি ব্যবসায়ী সংগঠনের এক সদস্যের কথায়, ‘‘এ বার বাজি ব্যবসা সংক্রান্ত একটা সুনির্দিষ্ট রূপরেখা দেখা যাবে। এটা আরও আগে হলে ভাল হত। সব চেয়ে বড় কথা, সমস্ত বিষয়টির উপরে জেলা এবং রাজ্যস্তরে নজরদারি কমিটি থাকবে।’’ এর পরে কি বাজি ব্যবসা সংক্রান্ত অনিয়ম বন্ধ হবে? প্রশাসন এবং পুলিশকর্তারা বিষয়টি নিয়ে আশাবাদী।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy