আমপান বিধ্বস্ত সুন্দরবনে ম্যানগ্রোভ রোপণের কাজ চলছে। ছবি: রাজ্য বনবিভাগ সূত্রে পাওয়া।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ‘লক্ষ্য’ বেঁধে দিয়েছিলেন। সাড়ে তিন মাসে অর্ধেক সাফল্য অর্জন করে ফেলেছে রাজ্য বন দফতর।
গত ২০ মে আমপানের তাণ্ডবে সুন্দরবনের একটা বড় অংশ বিপর্যস্ত হয়। ক্ষতিগ্রস্ত হয় ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চলও। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, পরিবেশ রক্ষা ও প্রাকৃতিক বিপর্যয় থেকে সুন্দরবনকে রক্ষা করতে পাঁচ কোটি ম্যানগ্রোভ গাছ লাগানো হবে সেখানে। সোমবার গোসাবার কুমিরমারি অঞ্চলে বাদাবন রোপণ কর্মসূচিতে যোগ দিতে গিয়ে রাজ্যের প্রধান মুখ্য বনপাল ভি কে যাদব বলেন, ‘‘ইতিমধ্যেই আমরা আড়াই কোটি ম্যানগ্রোভ রোপণ করেছি।’’
আরও পড়ুন: কোদালের কোপে নিকেশ মা কেউটে, ডিম ফুটিয়ে শিশুদের ‘পুনর্বাসন’ হুগলিতে
এদিন রাজ্যের বনমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে গ্রাম লাগোয়া নদীবাঁধের পাড়ে ম্যানগ্রোভ রোপণ হয়। মন্ত্রী জানান, সুন্দরবন ব্যাঘ্র প্রকল্প এবং দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা বনবিভাগের অন্তর্গত দ্বীপগুলির নদীবাঁধ ও চরগুলিতে ম্যানগ্রোভ সৃজনের কাজ পুরোদমে চলছে। এদিনের অনুষ্ঠানে যৌথ বন ব্যবস্থাপনা কর্মসূচিতে পরিবেশপ্রেমী সংগঠন ‘শের’-এর সহায়তায় এলাকার কয়েকটি মৎস্যজীবী পরিবারকে ওভেন-সহ ছোট এলপিজি সিলিন্ডার দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: সুন্দরবনে ৫ কোটি ম্যানগ্রোভ, রাজ্যের সব থানা এলাকায় লাগাতে হবে গাছ: মুখ্যমন্ত্রী
আমপান এবং করোনাভাইরাসের কারণে, বিশ্বের বৃহত্তম বাদাবন লাগোয়া গ্রামগুলির বাসিন্দাদের রুজি রোজগারে সমস্যা দেখা দিয়েছে। সম্প্রতি, জঙ্গলে মাছ ধরতে গিয়ে বেশ কয়েকজন মৎস্যজীবী বাঘের আক্রমণে মারা গিয়েছেন। সুন্দরবন ব্যাঘ্র প্রকল্পের ফিল্ড ডিরেক্টর তাপস দাস এদিন বলেন, ‘‘অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দেখা গিয়েছে মৎস্যজীবীরা কয়েকদিনের রসদ নৌকায় নিয়ে মাছ ধরতে যান। সাধারণত রান্নার জন্য জ্বালানি সংগ্রহে জঙ্গলে নেমে বাঘের শিকার হন। যাতে তাঁরা নিশ্চিন্তে নৌকায় রান্না করতে পারেন, সে জন্যই এই এলপিজি বিতরণের উদ্যোগ। এর ফলে প্রাণহানি এড়ানোর পাশাপাশি জঙ্গলও রক্ষা পাবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy