প্রতীকী ছবি।
মহিলা ভোটকর্মীদের নিজেদের বিধানসভা কেন্দ্রেই ভোট-ডিউটি দেওয়ার প্রস্তাব মেনে নিল নির্বাচন কমিশন। এ নিয়ে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের (সিইও) কার্যালয় কমিশনের কাছে অনুরোধ করেছিল। শুধুমাত্র মহিলা ভোটকর্মীদের সুবিধার্থে এই প্রস্তাব কমিশন মেনেছে বলে আধিকারিকদের দাবি।
সরকারি কর্মচারী যে বিধানসভা কেন্দ্রের ভোটার, সেই কেন্দ্রে তাঁর ভোট ডিউটি পড়ে না। আগের তুলনায় এ বছরে অনেক বেশি মহিলা ভোটকর্মীকে কাজে লাগাতে হচ্ছে। ফলে তাঁদের অন্য বিধানসভা কেন্দ্রে ভোটের দায়িত্ব দেওয়া হলে তাঁদের অসুবিধা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। সেই কারণে, সিইও দফতর কমিশনের কাছে শুধু মহিলা ভোটকর্মীদের জন্য এই নিয়ম শিথিল করার আর্জি জানিয়েছিল। সূত্রের খবর, তাতে ছাড়পত্র দিয়েছে কমিশন।
মঙ্গলবার রাজ্যের সিইও এবং এডিজি (আইনশৃঙ্খলা)-র সঙ্গে বৈঠক করেন বিশেষ পর্যবেক্ষক অজয় নায়েক এবং বিশেষ পুলিশ পর্যবেক্ষক বিবেক দুবে। বৈঠকে বাহিনী ব্যবস্থাপনা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয় বলে খবর। প্রথম দফার ভোট শুরুর আগেই রাজ্যে চলে আসবে ৪৯৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। সূত্রের দাবি, আরও বাহিনী চাওয়া হচ্ছে কমিশনের কাছে। মনে করা হচ্ছে, পরের ধাপে আরও অন্তত দু-তিনশো কেম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী রাজ্যে আসতে পারে। সংশ্লিষ্ট মহল জানিয়েছে, ২০১৬ সালের বিধানসভা এবং ২০১৯ সালে লোকসভা ভোটে হিংসার যে অভিযোগগুলি উঠেছিল, তার প্রেক্ষিতে প্রশাসন কী পদক্ষেপ করেছে, সেই তথ্যও নজরে রাখছেন ভোটের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিশেষ পর্যবেক্ষকেরা।
এ বার ৮০ বছরের বেশি বয়স্ক, শারীরিক ভাবে অক্ষম এবং কোভিড আক্রান্ত বা উপসর্গ থাকা ইচ্ছুকরা বাড়িতে থেকে পোস্টাল ব্যালটে ভোট দেওয়ার সুযোগ পাবেন। কমিশনের সিদ্ধান্ত, ভোট নিতে যে দল সংশ্লিষ্ট বাড়িগুলিতে যাবে, তাতে থাকবেন একজন সিনিয়র এবং এক জন জুনিয়র ভোট-অফিসার, এক জন মাইক্রো অবজ়ারভার, রাজ্য পুলিশ এবং অন্তত হাফ-সেকশন (চার জন) কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান। রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্যের অভিযোগ, ‘‘কমিশনের দেওয়া এই সুযোগ বাধ্যতামূলক নয়, স্বেচ্ছাধীন। কিন্তু তৃণমূল বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রচার করছে, এ বার ভোটে এটা বাধ্যতামূলক। বৃদ্ধদের বলছে, প্রচণ্ড গরম, আপনারা বাড়িতে বিশ্রাম নেবেন।’’
এ দিন অতিরিক্ত মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক সঞ্জয় বসু জানান, প্রথম দফার নির্বাচনে এ পর্যন্ত ১০৭ জন এবং দ্বিতীয় দফার ভোটে ২৯ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। ভোট ঘোষণার পর থেকে সোমবার পর্যন্ত ১০ কোটি ২২ লক্ষ মূল্যের নগদ, ৩.৯৯ কোটি টাকা মূল্যের ৩.৪৭ লক্ষ লিটার মদ এবং ৭২.৭৭ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়েছে। সম্মিলিত ভাবে উদ্ধারের আর্থিক পরিমাণ ৫২.৫৭ কোটি টাকা। অভিযোগ উঠেছে, দুধের প্যাকেটে খাদ্যসাথীর নাম ছাপানো থাকছে। সিইও দফতর জানিয়েছে, কমিশনের অভিযোগ পাওয়ার নির্দিষ্ট পদ্ধতিতে এই অভিযোগটি নথিভুক্ত হলে উপযুক্ত পদক্ষেপ করা হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy