Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
Bratya Basu

রাজ্যপালের নিয়োগ করা উপাচার্যদের স্বীকৃতি দেবে না রাজ্য, জানালেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু

শিক্ষামন্ত্রীর দাবি, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে বলা হয়েছে রাজ্যের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে উপাচার্য নিয়োগ করবেন রাজ্যপাল। কিন্তু সিভি আনন্দ বোস তা মানেননি।

WB Education Minister Bratya Basu slams Governor CV Ananda Bose on new controversy in VC appointment

রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস এবং শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। ফাইল চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০২ জুন ২০২৩ ১৮:০২
Share: Save:

সরকার পোষিত বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে আচার্যের নিয়োগ করা উপচার্যদের স্বীকৃতি দেবে না রাজ্য উচ্চশিক্ষা দফতর। শুক্রবার রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু এ কথা জানিয়েছেন। তাঁর অভিযোগ, উচ্চশিক্ষা দফতরের সঙ্গে কোনও আলোচনা না করে আচার্য (পদাধিকার বলে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস) বৃহস্পতিবার নিজের মর্জিমতো উপাচার্যদের নিয়োগ করে বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে নিয়ন্ত্রণ কায়েম করতে চাইছেন।

বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে উপাচার্য নিয়োগ ঘিরে নতুন করে রাজ্য বনাম রাজভবনের সংঘাত শুরু হয় বৃহস্পতিবার। শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য সমাজমাধ্যমে একটি পোস্টে অভিযোগ করেন, রাজ্যপাল বোস নিয়ম ভেঙে ১১টি বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন উপাচার্য নিয়োগ করেছেন। পোস্টে ব্রাত্য উচ্চশিক্ষা দফতরের তরফে ‘বেআইনি ভাবে’ নিয়োগ পাওয়া উপাচার্যদের পদ প্রত্যাখ্যান করার অনুরোধও জানান।

বিভিন্ন স্তরের প্রতিনিধি নিয়ে উচ্চশিক্ষা দফতরের গড়া সন্ধান কমিটি (সার্চ কমিটি) সম্ভাব্য উপাচার্যদের নামের তালিকা দেবে এবং আচার্যের (পদাধিকারবলে রাজ্যপাল) অনুমোদনের পর সেই তালিকা থেকে উপাচার্যকে বেছে নেওয়া হবে। এত দিন রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে উপাচার্য নিয়োগের ক্ষেত্রে এটাই ছিল দস্তুর। কিন্তু বর্তমান রাজ্যপালের আমলে প্রচলিত সেই পদ্ধতি বদলে যাচ্ছে বলে অভিযোগ ব্রাত্যের। এ প্রসঙ্গে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় এবং দক্ষিণ দিনাজপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘উদাহরণ’ দিয়ে ব্রাত্যের দাবি, রাজ্যের তরফে উপাচার্য নিয়োগের জন্য সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব এবং নামের তালিকা পাঠানো সত্ত্বেও রাজভবনের তরফে সাড়া মেলেনি।

শিক্ষামন্ত্রীর দাবি, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে বলা হয়েছে রাজ্যের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে উপাচার্য নিয়োগ করবেন রাজ্যপাল। কিন্তু ১১টি সরকার পোষিত বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগের ক্ষেত্রে সেই পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়নি। তাঁর মন্তব্য, ‘‘গণতন্ত্রের ক্ষেত্রে ‘চেকস অ্যান্ড ব্যালান্স’ থাকে বলে জানতাম। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার গণতন্ত্র শব্দটাকেই মান্যতা দিতে চাইছে না।’’ উপাচার্য নিয়োগের বিষয়টি নিয়ে তাঁরা আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার কথা বিবেচনা করছেন বলেও জানান ব্রাত্য।

রাজ্যপাল শুক্রবার রাজভবনে বলেছিলেন, ‘‘আলোচনা মানেই যে সহমত হতে হবে তার কোনও মানে নেই।’’ ব্রাত্যের অভিযোগ, রাজ্যপাল পুরো বিষয়টি গুলিয়ে দিতে চাইছেন। পুরনো উপাচার্যদের ভূমিকায় বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে গোষ্ঠীতন্ত্র প্রাধান্য পাচ্ছিল বলে রাজভবনের তরফে যে অভিযোগ উঠেছে, সে প্রসঙ্গে ব্রাত্যের প্রশ্ন, ‘‘তা হলে বিষয়টি নিয়ে আমাদের সঙ্গে কোনও রকম আলোচনা করলেন না কেন রাজ্যপাল?’’

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy