ব্রাত্য বসু। —ফাইল চিত্র।
রবিবার টেট পরীক্ষা। প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নিয়োগের ক্ষেত্রে যোগ্যতা নির্ণায়ক এই পরীক্ষায় বসতে চলেছেন প্রায় তিন লক্ষ পরীক্ষার্থী। কিন্তু টেট হলেও শিক্ষক পদে নিয়োগ কবে হবে, তা নিয়ে প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে চাকরিপ্রার্থীদের একাংশের মধ্যেই। রবিবার এই সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তরে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু জানালেন, সরকার চাইলেও আইনি জটে নিয়োগ প্রক্রিয়া থমকে রয়েছে। কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রভোট কবে হবে, এই প্রশ্নের উত্তরে অবশ্য নাম না করেই রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে তোপ দেগেছেন তিনি। অভিযোগ করেছেন যে, রাজ্যের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে অস্থিরতা তৈরি করার চেষ্টা হয়েছে।
কেন প্রাথমিকে নিয়োগ শুরু করা যাচ্ছে না, এই প্রশ্নের উত্তরে ব্রাত্য বলেন, “আইনি জটিলতা রয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী দ্রুত নিয়োগ চান। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ দ্রুত স্বচ্ছতার সঙ্গে নিয়োগ চায়।” ‘আইনি জটে’র প্রসঙ্গে ব্রাত্য বলেন, “এই জটিলতা আমরা তৈরি করিনি। আমরা যে স্বচ্ছ ভাবে নিয়োগ করব, সেই অবকাশই তো দেওয়া হচ্ছে না।
ছাত্রভোট প্রসঙ্গে ব্রাত্য বলেন, “আমরা সব সময় নির্বাচন করানোর পক্ষে। কিন্তু যে ভাবে একটি নির্দিষ্ট বাড়ি থেকে অচলাবস্থা তৈরি করা হচ্ছে, তা স্থিতিশীল অবস্থায় না এলে ছাত্রভোট করানো সম্ভব নয়।” ‘নির্দিষ্ট বাড়ি’ বলতে ব্রাত্য রাজভবনের দিকেই ইঙ্গিত করতে চেয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ, তার পরেই সরাসরি বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্যের দ্বারা নিযুক্ত অস্থায়ী উপাচার্যদের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে তিনি বলেন, “রাজ্যের উচ্চশিক্ষাকে ধ্বংস করার চেষ্টা হচ্ছে।” প্রসঙ্গত, পদাধিকার বলেই রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্য হলেন রাজ্যপাল। উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে রাজ্য-রাজ্যপাল দড়ি টানাটানির প্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্টে আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই শুনানি রয়েছে, সে কথা উল্লেখ করে ব্রাত্য বলেন, “মহামান্য আদালতের নির্দেশের পর আশা করছি অচলাবস্থা কেটে যাবে। আমরা দ্রুত নির্বাচনে যেতে পারব।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy