Advertisement
২২ ডিসেম্বর ২০২৪
Nabanna Abhijan

পুলিশকে ইট, জিপে আগুন লাগিয়েছে ভিড়ে মিশে থাকা তৃণমূল, দাবি বিজেপির, পাল্টা প্রশ্ন শাসকদলের

এই হিংসার পিছনে তৃণমূলের হাত রয়েছে বলে দাবি করলেন বিজেপির আইটি শাখার সর্বভারতীয় প্রধান তথা পশ্চিমবঙ্গের সহ-পর্যবেক্ষক অমিত মালবীয়। তাঁর দাবি, পুলিশের দিকে পাথর ছুড়েছেন তৃণমূলেরই ক্যাডার।

বিজেপির নবান্ন অভিযান ঘিরে আগুন জ্বলল।

বিজেপির নবান্ন অভিযান ঘিরে আগুন জ্বলল। —নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১৮:১৬
Share: Save:

বিজেপির নবান্ন অভিযান ঘিরে দলীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের দফায় দফায় খণ্ডযুদ্ধের পর এ বার তা নিয়ে শাসক-বিরোধীর তরজা শুরু হল। এই হিংসার পিছনে তৃণমূলের হাত রয়েছে বলে দাবি করলেন বিজেপির আইটি শাখার সর্বভারতীয় প্রধান তথা পশ্চিমবঙ্গের সহ-পর্যবেক্ষক অমিত মালবীয়। তাঁর দাবি, ভিড়ে মিশে থেকে পুলিশের দিকে যাঁরা পাথর ছুড়েছেন, তাঁরা আসলে তৃণমূলেরই ক্যাডার। এবং তা করা হয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশেই । যদিও মালবীয়ের এই দাবি নস্যাৎ করে দিয়ে শাসকদলের পাল্টা দাবি, নবান্ন অভিযানে ব্যর্থতা ঢাকতেই এ ধরনের মন্তব্য করে নজর ঘোরাতে চাইছেন মালবীয়। বিজেপি যে শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের অর্থ জানে না, সে দাবিও করেছে তৃণমূল।

মঙ্গলবার বিজেপির নবান্ন অভিযানের শুরু থেকেই সাঁতরাগাছি থেকে হাওড়া ময়দান, এমজি রোড-সহ একাধিক জায়গায় হিংসার আগুন জ্বলেছে। সাঁতরাগাছিতে পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে এগোনোর সময় বিজেপি নেতা-কর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষ শুরু হয়। পুলিশকে লক্ষ্য করে বিজেপি নেতা-কর্মী-সমর্থকেরা ইটবৃষ্টি, পাথর ছোড়েন বলে অভিযোগ। বিজেপির মিছিলকে ছত্রভঙ্গ করতে পাল্টা হিসাবে জলকামান, কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে পুলিশও। চলে লাঠিচার্জ। অন্য দিকে, রবীন্দ্র সরণি এবং এমজি রোডের সংযোগস্থলে পুলিশের জিপে আগুন লাগানো হয়। যা ঘিরে আর এক প্রস্ত উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে ওই এলাকায়।

সংবাদমাধ্যমের একটি ভিডিয়ো টুইটারে পোস্ট করেন মালবীয় দাবি করেন, ‘পুলিশের দিকে পাথর ছু়ড়তে তৃণমূলের ক্যাডারদের পাঠিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যাতে এ নিয়ে বিজেপির উপরে দোষ দেওয়া যায়... ।’ ওই ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে, রাস্তার এক পাশে রাখা একটি পুলিশের গাড়ি দাউ দাউ করে জ্বলছে। তার একটু দূরে পাথর ছুড়ছেন এক যুবক। গোটা ঘটনায় তৃণমূলের হাত রয়েছে বলে মালবীয় দাবি করলেও তা নস্যাৎ করে দিয়েছেন তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। আনন্দবাজার অনলাইনের কাছে তিনি বলেন, ‘‘কর্মসূচির ব্যর্থতা ঢাকতেই দৃষ্টি ঘোরাতে চাইছেন মালবীয়।’’

প্রসঙ্গত, দুপুর সাড়ে ১২টা নাগাদ দ্বিতীয় হুগলি সেতুর কাছে বিজেপির মিছিল পৌঁছতেই পুলিশি বাধার মুখে পড়েন বিরোধী দলনেতা এবং দলীয় সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। তাঁদের পিটিএসের সামনে আটকে দেওয়া হয়। কর্তব্যরত পুলিশের সঙ্গে উত্তপ্ত বাদানুবাদে জড়িয়ে পড়েন শুভেন্দু। মহিলা পুলিশ তাঁর গায়ে হাত দিয়েছে বলে দাবি করেন তিনি। এর পর লকেট এবং শুভেন্দুকে আটক করে প্রিজন ভ্যানে তুলে নিয়ে যায় পুলিশ। এই ঘটনা নিয়ে শুভেন্দুকে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি কুণাল। তিনি বলেন, ‘‘অমিত (মালবীয়) এ সব দাবি করছেন, আগে দেখুন শুভেন্দু কেন খেলা শুরুর আগে খেলা শেষ করে দিলেন? মহিলা পুলিশ গায়ে হাত দিতেই কেন আঁতকে উঠলেন?’’

বিজেপির অভিযানের সময় হিংসার দায় গেরুয়া শিবিরের দিকেই ঠেলেছে শাসকদল। দলের টুইটার হ্যান্ডলে পুলিশের গাড়িতে আগুনের ছবি দেওয়া ভিডিয়ো পোস্ট করে তাদের কটাক্ষ, ‘এই হল শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ।’ সেই সঙ্গে অন্য একটি টুইটে তৃণমূলের দাবি, ‘বিজেপির আসল চেহারা। এক দল দাঙ্গাকারী এবং গুন্ডা, যারা শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের অর্থ বোঝে, শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান হতে দেয় না। জনগণের শান্তি বিনষ্টকারী এবং সরকারি সম্পত্তি নষ্টকারী এই নির্লজ্জ প্রয়াসের নিন্দা করি।’

অন্য বিষয়গুলি:

Nabanna Abhijan BJP TMC Kolkata Police
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy