২৫০০০ গাড়ি রাস্তায় নামতে না পারায় সাধারণ মানুষের ভোগান্তি বেড়েছে বলে দাবি সংগঠনগুলির। ফাইল চিত্র।
গণপরিবহণের সঙ্গে যুক্ত ২৫ হাজার গাড়ি রাস্তায় নামতে পারছে না। বিভিন্ন ধরনের জরিমানার কারণেই এমনটা হয়েছে। পরিবহণ মন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তীকে চিঠি দিয়ে এমনটাই জানাল গণপরিবহণের সঙ্গে যুক্ত সংগঠনগুলি। সোমবার জয়েন্ট ফোরাম অফ ট্রান্সপোর্ট অপারেটর্স মঞ্চের ছাতার তলায় ৫টি গণপরিবহন সংগঠনের নেতারা এই চিঠিটি পাঠিয়েছেন পরিবহণ মন্ত্রীর কাছে। কর বাকি, ফিটনেস অফ সার্টিফিকেট (সিএফ) এবং পারমিটের মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে যাওয়ায় বিপুল জরিমানার মুখে পড়েছে বেসরকারি পরিবহণ পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত বিপুলসংখ্যক যানবাহন। চিঠিতে সংগঠনগুলি দাবি করেছে, আর্থিক দুরবস্থার কারণে তারা ওই জরিমানা দিতে পারেনি। ফলে প্রায় ১০ হাজার বাস, মিনিবাস এবং ১৫ হাজার ট্যাক্সি-সহ লাক্সারি অ্যাপ ক্যাব রাস্তায় নামতে পারছে না। গত বছর এককালীন ১৫০০ টাকা দিয়ে গাড়ির সিএফ করিয়ে নেওয়ার সুযোগ দিয়েছিল রাজ্য সরকার। সেই সময় বহু গাড়ি অল্প খরচের নিজেদের সিএফ করিয়ে নেওয়ার সুযোগ পেয়েছিল। কিন্তু বড় সংখ্যক বাস, মিনি বাস, ট্যাক্সি এবং অ্যাপ ক্যাবের মালিকেরা তাঁদের কাগজপত্রে সমস্যা থাকায় সেই সুযোগ নিতে পারেননি বলে চিঠিতে জানানো হয়েছে।
তাই জয়েন্ট ফোরাম অফ ট্রান্সপোর্ট অপারেটরসের পক্ষ থেকে রাজ্য সরকার তথা পরিবহণ দফতরের কাছে অনুরোধ জানানো হয়েছে কর-সহ সিএফ এবং পারমিট নিয়ে যে বিরাট অঙ্কের জরিমানা করা হয়েছে, তা এককালীন কিছু জরিমানা দিয়ে গাড়িগুলিকে রাস্তায় নামার সুযোগ দেওয়া হোক। এই কাজের জন্য ৬০ দিন সময় চেয়েছেন গণপরিবহণ সংগঠনের নেতারা। পরিবহণ মন্ত্রীকে দেওয়ায় চিঠিতে স্বাক্ষর করেছেন অল বেঙ্গল বাস মিনি বাস সমন্বয় সমিতির সাধারণ সম্পাদক রাহুল চট্টোপাধ্যায়, সিটি সাবার্বান বাস সার্ভিসেসের সাধারণ সম্পাদক টিটু সাহা, নর্থ বেঙ্গল প্যাসেঞ্জার ট্রান্সপোর্ট অপারেটর কোঅর্ডিনেশন কমিটির সাধারণ সম্পাদক প্রণব মানি, পুলকার ওনার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সুদীপ দত্ত এবং অনলাইন অ্যাপ ক্যাব অপারেটরস গিল্ডের সাধারণ সম্পাদক ইন্দ্রনীল বন্দ্যোপাধ্যায়।
অনলাইন অ্যাপ ক্যাব অপারেটরস গিল্ডের সাধারণ সম্পাদক ইন্দ্রনীল বলেছেন, “করোনাভাইরাসের সংক্রমণের সময় যে লকডাউন হয়েছিল তাতে বেসরকারি পরিবহণ পরিষেবা ভেঙে পড়েছে। বা বলা চলে বেসরকারি পরিবহণ পরিষেবা এখন কোমায় চলে গিয়েছে। তাই বেসরকারি পরিবহণ ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের পক্ষে সম্ভব নয় বিরাট পরিমাণ অর্থ কোনও জায়গায় বিনিয়োগ করা। জরিমানার ফলে বিপুলসংখ্যক গাড়ি রাস্তায় নামতে পারছে না।” তিনি আরও বলেছেন, “আমরা যে প্রস্তাব দিয়েছি তা যদি পরিবহণ দফতর গ্রহণ করে তবে কেবল আমাদের সুবিধা হবে এমনটা নয়। ২৫০০০ গাড়ি রাস্তায় নামলে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি কমবে। এই বিপুলসংখ্যক গাড়ি রাস্তায় নামলে রাজ্য সরকারও বড় অঙ্কের রাজস্ব লাভ করবে। তাই আমরা ওই চিঠি দিয়ে রাজ্য সরকারকে বিষয়টি বিবেচনার জন্য জানিয়েছি।” তবে বেসরকারি গণপরিবহন সংগঠনগুলির প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে পরিবহন দফতর এখনও কোনও সিদ্ধান্ত নেয়নি বলেই সূত্রের খবর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy