নিহত বিশ্বজিৎ মাইতি। —নিজস্ব চিত্র।
সন্দেশখালিতে দুষ্কৃতীদের গুলিতে আহত ভিলেজ পুলিশ বিশ্বজিৎ মাইতির মৃত্যু হল বাইপাসের ধারে একটি বেসরকারি হাসপাতালে। শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা নাগাদ তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর।
আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন সন্দেশখালি থানার সাব ইনস্পেক্টর অরিন্দম হালদার এবং সিভিক ভলান্টিয়ার বাবুসোনা সিংহ। শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ সন্দেশখালি থানা থেকে ৫ কিলোমিটার দূরে খুলনা গ্রামে গুলিচালনার ঘটনা ঘটে। সেখানে বিদ্যাধরী নদীর পাশে রজনীঘাট বৌঠাকুরানির মাঠ এলাকায় পুলিশকর্মীদের লক্ষ্য করে বোমা ও গুলি ছোড়া হয়। ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর জখম হন তিন জন। বিশ্বজিতের আঘাত ছিল গুরুতর। এ দিন সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা নাগাদ তাঁর মৃত্যু হয়।
কালীপুজো উপলক্ষে বৌঠাকুরানির মাঠে মেলা বসে। সেখানে জুয়ার ঠেকে গন্ডগোল বাধলে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। গোলমালের জেরে দুষ্কৃতীদের মধ্যে গুলি-বোমা চলে। ওই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত বিধান সর্দার এবং কেদার সর্দার গ্রামে ঢোকার পরেই পুলিশকে লক্ষ্য করে ব্যাপক বোমাবাজি শুরু করে। গ্রামের মুখে পুলিশকর্মীদের ঘিরে ফেলে তারা।
আরও পড়ুন: সন্দেশখালিতে দুষ্কৃতী ধরতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ ৩ পুলিশ, চলছে ধরপাকড়
আরও পড়ুন: নিষেধাজ্ঞাই সার! গেট ভেঙে, প্রশাসনের সামনেই ছটপুজো রবীন্দ্র সরোবরে
অভিযোগ, এর পরেই পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। ওই তিন পুলিশকর্মীই গুলিবিদ্ধ হন। পরে পুলিশের একটি বড় বাহিনী গিয়ে তাঁদের ওখানে থেকে গুরুতর জখম অবস্থায় উদ্ধার করে। রাতেই তাঁদের সল্টলেকের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। কিন্তু সেখানে চিকিৎসক না থাকায় পুলিশকর্মীদের নিয়ে যাওয়া হয় বাইপাসের ধারে একটি হাসপাতালে। সেখানেই ওই তিন জনের চিকিৎসা চলছিল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy