ফাইল চিত্র।
বিধানসভা ভোটে সিপিএমের বেনজির বিপর্যয়ের পর থেকেই দলের ‘অস্বস্তি’ বাড়িয়ে চলেছেন বর্ষীয়ান নেতা ও প্রাক্তন মন্ত্রী কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়। কখনও তৃণমূলের সঙ্গে বৃহত্তর জোটের ইঙ্গিতপূর্ণ দাবি করে প্রকাশ্যে মন্তব্য করেছেন, রাজ্য কমিটির বৈঠকে আবার সেই বক্তব্য অস্বীকার করে বিতণ্ডায় জডিয়েছেন রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্রের সঙ্গে। সংগঠনের খোলনলচে বদলানো এবং কমিটি ভেঙে দেওয়ার দাবি তুলেছেন। দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা সিপিএম নেতৃত্বের সঙ্গেও তাঁর মতের মিল হচ্ছে না। এই পরিস্থিতিতে কান্তিবাবুর মন বুঝতে তাঁকে ডেকে পাঠাল আলিমুদ্দিন। তাঁর সঙ্গে কাল, মঙ্গলবার কথা বলতে পারেন দলের বর্ষীয়ান নেতা বিমান বসু।
এ বার বিধানসভা ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন, এমন সব প্রার্থীর কাছেই লিখিত মতামত চেয়েছিল সিপিএমের রাজ্য কমিটি। জেলা নেতৃত্ব, গণসংগঠন এবং প্রার্থীদের পাঠানো মতের ভিত্তিতেই তৈরি হয়েছে রাজ্যের পর্যালোচনা রিপোর্ট। রায়দিঘির প্রার্থী হিসেবে কান্তিবাবু রাজ্য সম্পাদককে পাঠানো চিঠিতে সংগঠনের খোলনলচে বদলানো এবং বিভিন্ন কমিটি ভেঙে দেওয়ার পক্ষে সওয়াল করেছিলেন। তার পরে আবার সেই বিষয়ে সংবাদমাধ্যমের একাংশে বিবৃতি দেন রায়দিঘির প্রাক্তন বিধায়ক। তাঁর এমন আচরণেই ক্ষুব্ধ আলিমুদ্দিন স্ট্রিট। ভোটের পরে প্রকাশ্যে দলের নেতৃত্বের একাংশকে কাঠগড়ায় তুলে বিষোদগার করেছিলেন আর এক প্রাক্তন বিধায়ক তন্ময় ভট্টাচার্য। তিন মাসের জন্য তাঁকে প্রকাশ্যে বিবৃতি দেওয়া বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য কমিটি। যা বলার, বলতে হবে দলের অন্দরেই। এর পরে বিমান-কান্তি আলোচনায় বরফ গলে কি না, সে দিকেই নজর রয়েছে বাম মহলের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy