মাতঙ্গিনী হাজরার মূর্তির পাদদেশে তাঁদের বিক্ষোভ অবস্থানের এক হাজার দিন পূর্ণ করলেন ইন্টারভিউ বঞ্চিত উচ্চ প্রাথমিকের চাকরিপ্রার্থীরা। রবিবার সহস্রতম দিনে বিভিন্ন জেলা থেকে চাকরিপ্রার্থী ও তাঁদের অভিভাবকেরা এসেছিলেন। তাঁদের হুঁশিয়ারি, নিয়োগের দাবি পূরণ না হলে ভবিষ্যতে আরও বড় আন্দোলনের পথে হাঁটবেন।
উচ্চ প্রাথমিকে চাকরিপ্রার্থীদের ১২ হাজারের উপরে নিয়োগ ইতিমধ্যে হয়ে গিয়েছে। ওই নিয়োগে চতুর্থ পর্যায়ের কাউন্সেলিংও শেষ। তবে এর পাশাপাশি উচ্চ প্রাথমিকের কয়েক হাজার চাকরিপ্রার্থী রয়েছেন, যাঁরা ইন্টারভিউ বঞ্চিত। তাঁদের অভিযোগ, ২০২২ সালে যখন উচ্চ প্রাথমিকের ইন্টারভিউ প্রক্রিয়া শুরু হল, তখন ‘কলকাতা গেজেট ২০১৬’ নিয়ম অনুসারে সিট আপডেট না করেই তা শুরু হয়েছিল। ফলে তাঁরা ইন্টারভিউ থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। এর পরেই তাঁদের নিয়ে এই ইন্টারভিউ বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থী মঞ্চ তৈরি হয়। তাঁদের দাবি, ২০১৫ সালে যখন তাঁরা টেট দিয়েছিলেন, তখনকার শূন্য পদ আর ২০২২ সালে যখন ইন্টারভিউ প্রক্রিয়া হল, তখনকার শূন্য পদ এক হতে পারে না। কারণ, তার মাঝে প্রচুর শিক্ষক অবসর নিয়েছেন। অনেকে অন্য চাকরিতে চলে গিয়েছেন। দশ বছর ধরে অপেক্ষায় তাঁরা। দ্রুত সিট আপডেট করে তাঁদের নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে বলে দাবি তাঁদের।
এ দিন ওই চাকরিপ্রার্থীদের কয়েক জন প্রতিনিধি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ি গিয়ে স্মারকলিপি জমা দিয়ে আসেন। চাকরিপ্রার্থীরা জানান, অনেক প্রার্থী রয়েছেন, যাঁদের বয়স এখন পঞ্চাশ ছুঁই ছুঁই। কবে আর তাঁদের নিয়োগ হবে?
আজহার শেখ নামে এক চাকরিপ্রার্থী জানান, গত কয়েক বছরে কয়েক জন ইন্টারভিউ বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থী মারা গিয়েছেন। নিয়োগ না হওয়ায় অবসাদে ভুগছিলেন তাঁরা। এ দিন সহস্রতম দিবসে মঞ্চে তাঁদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি দেওয়া হয়। কয়েক জন চাকরিপ্রার্থী মুখে
কালি মেখেও নিয়োগের স্লোগান দেন। আজহার বলেন, ‘‘যদি মুখ্যমন্ত্রী আমাদের সঙ্গে আলোচনায় না বসেন, তা হলে আমরা ভবিষ্যতে অনশন বিক্ষোভে যাব।’’
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)