ছবি: সংগৃহীত।
স্নাতক স্তরের ভর্তির জন্য প্রায় সর্বত্রই জোরদার তোড়জোড় শুরু হয়ে গিয়েছে। তবে প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ে ওই স্তরে ভর্তি প্রক্রিয়ার কোনও পরিষ্কার ছবি ফুটে ওঠেনি এখনও। সাধারণ ভাবে প্রবেশিকা পরীক্ষার মাধ্যমেই ছাত্রছাত্রী নেওয়া হয় ওই প্রতিষ্ঠানে। কিন্তু অতিমারির জন্য এ বার ভর্তির পরীক্ষা আদৌ হবে কি না, তা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে।
প্রবেশিকা পরীক্ষা না-নিলে তারা আন্দোলনে নামবে বলে জানিয়ে দিয়েছে ছাত্র সংগঠন এসএফআই। ভর্তির পরীক্ষা নেওয়ার দাবি জানিয়ে এসএফআইয়ের নেতৃত্বাধীন ছাত্র সংসদ ইতিমধ্যেই চিঠি দিয়েছে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে।
রাজ্যের উচ্চশিক্ষা দফতর নির্দেশ দিয়েছে, কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক স্তরে ভর্তির প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে ১০ অগস্ট। বেশ কিছু দিন ধরেই প্রেসিডেন্সিতে ভর্তির জন্য পরীক্ষা নিচ্ছে জয়েন্ট এন্ট্রান্স বোর্ড। এই পরীক্ষা অনেক আগেই হয়ে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু করোনার প্রাদুর্ভাবে লকডাউন চলতে থাকায় এখনও সেই প্রবেশিকা নেওয়া যায়নি। প্রশ্ন উঠছে, এই পরিস্থিতিতে পড়ুয়ারা পরীক্ষার হলে গিয়ে পরীক্ষা দিতে পারবেন কি? অনলাইনে পরীক্ষার ব্যবস্থা হলে সব ছাত্রছাত্রী তা দিতে পারবেন তো?
এই অবস্থায় প্রেসিডেন্সির ভর্তি-পরীক্ষা বাতিল হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। কিন্তু প্রেসিডেন্সি-কর্তৃপক্ষ এই বিষয়ে এখনও কিছুই জানাননি। জানায়নি জয়েন্ট এন্ট্রান্স বোর্ডও। শিক্ষা সূত্রের খবর, বিষয়টি নিয়ে প্রেসিডেন্সি-কর্তৃপক্ষের সঙ্গে জয়েন্ট এন্ট্রান্স বোর্ডের কোনও কথা হয়নি। তবে চলতি সপ্তাহে কোনও একটা সমাধানসূত্র বেরোতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে। প্রেসিডেন্সির রেজিস্ট্রার দেবজ্যোতি কোনার রবিবার বলেন, ‘‘আমরা পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছি। সময়মতো বাস্তবসম্মত সিদ্ধান্ত নিশ্চয়ই নেওয়া হবে।’’
প্রবেশিকা নিতেই হবে বলে কেন সক্রিয় হয়েছে এসএফআই? ওই সংগঠনের পক্ষে দেবনীল পাল এ দিন বলেন, ‘‘এ বার উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার ফল যে-ভাবে চূড়ান্ত করা হয়েছে, তাতে ছাত্রছাত্রীদের মেধা যাচাই হয়নি। প্রেসিডেন্সিতে সর্বদাই প্রকৃত মেধাকে সুযোগ দেওয়া হয়। তাই মেধা যাচাই করার জন্য ভর্তির পরীক্ষা নিতেই হবে।’’ তাঁর বক্তব্য, আপাতত ক্লাস শুরু করা সম্ভব নয়। তাই এখনই ভর্তির প্রক্রিয়া শুরু না-করে পরে শুরু করা হোক। তখন পরীক্ষা নিয়েই পড়ুয়া ভর্তির ব্যবস্থা করা হোক। তা ছাড়া এখন ভর্তির জন্য আবেদন করতে গেলে অনেক পড়ুয়াকেই সাইবার ক্যাফেতে যেতে হবে। রাজ্যের অনেক জায়গায় এখনও কন্টেনমেন্ট এলাকা রয়েছে। পড়ুয়ারা সাইবার ক্যাফেতে ভিড় জমালে করোনা সংক্রমণের আশঙ্কা আছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy