ফাইল চিত্র।
গবেষণায় নকল ঠেকাতে কঠোর নিয়মবিধি আগেই ঘোষণা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। এ বার পিএইচ ডি করতে গেলে গবেষণা এবং গবেষণাপত্র প্রকাশের নীতি নিয়ে কোর্স করা বা পাঠগ্রহণও বাধ্যতামূলক করল তারা।
আগে গবেষণাপত্রে নকল যাচাইয়ের নির্দিষ্ট নিয়ম ছিল না। বিভিন্ন জার্নালের তরফে গবেষণাপত্র খতিয়ে দেখা হত। নকল ধরা পড়লে তারা গবেষণাপত্র বাতিল করে দিত। গত বছরই গবেষণায় নকল ঠেকাতে কঠোর নিয়মবিধি চালু করে ইউজিসি। সেই সঙ্গে সব উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে গবেষণাপত্রের নকল ধরার সফটঅয়্যার বিনামূল্যে দেওয়া হচ্ছে। এ বার পিএইচ ডি করার জন্য রীতিমতো একটি পাঠ্যক্রম বা বিষয় (‘রিসার্চ অ্যান্ড পাবলিকেশন এথিক্স’) পড়া বাধ্যতামূলক করা হল। আগামী শিক্ষাবর্ষেই এই পাঠ্যক্রম চালু করার জন্য দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের কাছে নির্দেশ পাঠিয়েছেন ইউজিসি-র সচিব রজনীশ জৈন। নির্দেশে জানানো হয়েছে, যাঁরা এমফিল করছেন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের আগ্রহী শিক্ষকেরাও এই পাঠ নিতে পারবেন। ভবিষ্যতে স্নাতকোত্তর পড়ুয়াদেরও এটা পড়তে হবে।
গত বছরের বিধিতে জানানো হয়েছিল, নকল করলে গবেষণাপত্র বাতিল হতে পারে। পিএইচ ডি রেজিস্ট্রেশন বাতিলেরও উল্লেখ আছে ওই বিধিতে। এ বার পিএইচ ডি করার জন্য রেজিস্ট্রেশনের আগেই গবেষণা ও গবেষণাপত্র প্রকাশের নীতি নিয়ে পাঠ্যক্রম শেষ করা বাধ্যতামূলক হল।
শিক্ষা শিবির মনে করছে, নতুন এই পাঠ্যক্রম চালু হলে ভালই হবে। যাঁরা পিএইচ ডি করতে আসবেন, তাঁরা আগে থেকেই গবেষণা এবং গবেষণাপত্র প্রকাশের নিয়মনীতি সম্পর্কে ওয়াকিবহাল হতে পারবেন। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষক পার্থিব বসু বৃহস্পতিবার জানান, তাঁদের বিভাগে কেউ পিএইচ ডি করতে এলে ‘প্রি-পিএইচ ডি’ কোর্সে রিসার্চ এথিক্স পড়তে হয়। ইউজিসি এই ধরনের পাঠ্যক্রম বাধ্যতামূলক করতে বললে সেটা ভালই হবে। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের তুলনামূলক সাহিত্যের শিক্ষক স্যমন্তক দাসও মনে করেন, এমন পাঠ্যক্রম চালু হলে গবেষকদের ভালই হবে। ‘‘পিএইচ ডি যাঁরা করছেন, গবেষণা, গবেষণাপত্র প্রকাশের বিষয়ে তাঁদের স্বচ্ছ ধারণা থাকা উচিত,’’ বলেন স্যমন্তকবাবু।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy