সীমান্তে ‘বাংলাদেশি দুষ্কৃতীদের দৌরাত্ম্য’ রুখতে বিএসএফের ভূমিকা নিয়ে সরব হলেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী উদয়ন গুহ। অভিযোগ, কয়েক দিন ধরে সীমান্ত লাগোয়া কোচবিহারের দিনহাটার শালমারার কিছু গ্রামে বাংলাদেশি দুষ্কৃতীরা হামলা করছে। ফসল কেটে নিচ্ছে, পাম্প পোড়াচ্ছে। সোমবার এই বিষয়ে কোচবিহারের জেলাশাসকের কাছে অভিযোগ জানান দিনহাটার তৃণমূল বিধায়ক উদয়ন। তাঁর দাবি, “অজ্ঞাত কারণে বিএসএফকে অনেক ক্ষেত্রে সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে দেখা যাচ্ছে না। কেন্দ্রীয় সরকার অবিলম্বে সীমান্তের অসহায় বাসিন্দাদের সম্পত্তি রক্ষা করতে যথাযথ ব্যবস্থা নিক।”
প্রশাসন সূত্রের খবর, ইতিমধ্যে বিষয়টি নিয়ে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সঙ্গে বৈঠক করেছে বিএসএফ। কোচবিহারের জেলাশাসক অরবিন্দকুমার মিনা বলেন, “এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক। নতুন করে কোনও সমস্যা হবে না বলে আশা করছি।” বিএসএফের গুয়াহাটি ফ্রন্টিয়ারের এক আধিকারিক বলেন, “পরিস্থিতি নজরে রয়েছে। প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ হয়েছে।’’ তবে এলাকার গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য নবীরউদ্দিন মিয়াঁর দাবি, “বিএসএফের তরফে একাধিক বার বৈঠক হলেও, সমস্যা মেটেনি।”
সমাজমাধ্যমে উদয়নের দাবি, ‘জ়িরো পয়েন্ট’-এ ভারত কাঁটাতারের বেড়া দিলে সীমান্তে বসবাসকারীদের বার বার হামলার মুখে পড়তে হত না। স্থানীয় বাসিন্দাদের ক্ষোভ, গত তিন দিন ধরে নাজিরহাট ২ (শালমারা) গ্রাম পঞ্চায়েতের সীমান্তবর্তী বিভিন্ন গ্রামে বাংলাদেশি দুষ্কৃতীদের দৌরাত্ম্য চলছে। ওই সীমান্তে কিছু অংশে কাঁটাতার নেই। কিছু জায়গায় ভারতীয়দের কৃষিজমি আছে কাঁটাতারের ও-পারে। কাঁটাতার নেই বাংলাদেশের দিকে। অভিযোগ, সেই সুযোগে রাতে বাংলাদেশি দুষ্কৃতীরা হামলা করছে। স্থানীয় বাসিন্দা চন্দনা সরকার বলেন, ‘‘আমরা আতঙ্কিত। বিষয়টি উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী, প্রশাসনকে জানিয়েছি।’’
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)