—প্রতীকী চিত্র।
মাঠে চাষের কাজে গিয়ে বাজ পড়ে প্রাণ গেল বাবা ও ছেলের। বুধবার দুপুরে ঝাড়গ্রামের নয়াগ্রাম থানার কুড়চিবনি গ্রামে ঘটনাটি ঘটেছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বাজ পড়ে মৃত্যু হয়েছে রঞ্জিত হাঁসদার (৪৮) ও তাঁর নাবালক ছেলে বিশ্বজিৎ হাঁসদা (১৪)-র। পশ্চিম মেদিনীপুরেও বজ্রাঘাতে চার জনের মৃত্যু হয়েছে।
বুধবার দুপুর থেকে ঝাড়গ্রামের একাংশে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি শুরু হয়। স্থানীয় সূত্রে খবর, সেই সময়েই চাষের কাজ করতে ছেলেকে নিয়ে মাঠে গিয়েছিলেন রঞ্জিত। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আচমকা বাজ পড়তেই মাটিতে লুটিয়ে পড়েন বাবা-ছেলে। খবর পেয়েই বাড়ির লোকজন ছুটে গিয়েছিলেন মাঠে। দু’জনকে উদ্ধার করে নয়াগ্রাম সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। দু’জনকেই মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। পরিবার জানিয়েছে, বিশ্বজিৎ স্কুলে পড়ে। বাণীবিদ্যাপীঠের নবম শ্রেণির ছাত্র সে। রঞ্জিতের খুড়তুতো ভাই বাণেশ্বর হাঁসদা বলেন, ‘‘রোজকার মতো আজও দাদা মাঠে চাষের কাজ করতে গিয়েছিলেন। ভাইপোও গিয়েছিল। বৃষ্টির জন্য দাদার ভাত খাওয়া হয়নি। কোথা থেকে যে কী হয়ে গেল!’’
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার বেলদা, নারায়ণগড় ও কেশিয়ারি থানা এলাকায় বাজ পড়ে মৃত্যু হয়েছে চার জনের। বেলদা থানা এলাকায় মাঠে কাজ করতে গিয়ে প্রাণ গিয়েছে একই গ্রামের দু’জনের। তাঁদের মধ্যে এক জন মহিলা। মৃতার নাম শকুন্তলা মান্ডি (২৪)। অপর জনের নাম সমীর হাঁসদা। তাঁদের বেলদা সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করেন। নারায়ণগড়ের যমুনা গ্রামে মাঠে চাষ করার সময় বজ্রপাতে মৃত্যু হয় চন্দ্রমোহন সিট (৬৬) নামে এক বৃদ্ধের। কেশিয়ারি থানার সহরিয়া গ্রামেও পরেশ মল্লিক (৬৬) নামে এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয় বজ্রপাতে। পুলিশ দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠিয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy