শেখ শাহজাহান
উত্তর ২৪ পরগনার দুই তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার মাদক পাচারের অভিযোগ তুলেছে বিজেপি। কয়েক দিন আগে কলকাতা বন্দরে আটক হওয়া ২০০ কোটি টাকার ওই হেরোইন কারবারের সঙ্গে জড়িত থাকার যে অভিযোগ তোলা হয়েছে বিজেপির পক্ষ থেকে, তা খারিজ করে দিয়েছেন ওই দুই তৃণমূল নেতা। বিজেপি ওই অভিযোগ তোলার পরেই অবশ্য তৃণমূলের তরফে তা অস্বীকার করা হয়। এ বার অভিযুক্ত দুই তৃণমূল নেতার এক জন জানিয়ে দেন, বিজেপির বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করবেন তিনি।
বৃহস্পতিবার বিজেপির রাজ্য দফতরে সাংবাদিক বৈঠক করে দলের রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ও সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় দাবি করেন, কলকাতা বন্দরে উদ্ধার হওয়া প্রায় ৪০ কেজি হেরোইন শরিফুল এন্টারপ্রাইজের নামে এসেছিল। বিজেপির দাবি, ওই সংস্থার মালিক শরিফুল ইসলাম মোল্লা তৃণমূলের ‘ঘনিষ্ঠ’। সন্দেশখালি ১ ও ২ নম্বর ব্লকের তৃণমূল সভাপতি শিবু হাজরা এবং শেখ শাহজাহানের সঙ্গে শরিফুলের যোগাযোগ রয়েছে বলে দাবি করা হয় বিজেপির পক্ষ থেকে।
বিজেপির এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে শাহজাহান বলেন, ‘‘সন্দেশখালিতে তো এদের কোনও অস্তিত্বই নেই। বিজেপির পায়ের তলায় মাটি নেই। ওদের কোমরের জোর হচ্ছে সিবিআই আর ইডি। আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ তোলা হয়েছে, তার জন্য আমি কোর্টে যাব। মানহানির মামলা করব।’’ শিবুপ্রসাদও বলেন, ‘‘এরা বরাবর মিথ্যের আশ্রয় নিয়ে চলে। প্রমাণ করুক না!’’
সুকান্তরা দাবি করেন, গিয়ার বক্সে লুকিয়ে কন্টেনার ভর্তি করে হেরোইন আনা হয়েছিল। এই সংক্রান্ত বিভিন্ন নথি এবং ছবিও পেশ করে রাজ্য বিজেপি। তবে তার সত্যতা যাচাই করে দেখেনি আনন্দবাজার অনলাইন। বিজেপির দাবি, গত বছর মে মাসে বিধানসভা নির্বাচনের ফলপ্রকাশের পরে এই মাদকের বরাত দেওয়া হয়েছিল। অভিযোগ, গত মার্চ মাসে দুবাই থেকে ওই মাদক কলকাতায় আসে। মোট ৬০৫টি প্যাকেটে এবং আড়াই হাজার কিলোগ্রাম স্পেয়ার পার্টসের সঙ্গে ওই মাদক এসেছিল। কিন্তু কলকাতা বন্দরে সেই মাদক পড়ে থাকলেও শরিফুল মোল্লা তা সেপ্টেম্বর পর্যন্ত নিয়ে যাননি। পরে ৯ সেপ্টেম্বর গুজরাত এটিএস তল্লাশি চালিয়ে ওই কন্টেনার বাজেয়াপ্ত করে। বিজেপির রাজ্য সভাপতির আরও দাবি, কন্টেনার আটক হওয়ার পর শাহজাহান রাজ্যের এক মন্ত্রীর সঙ্গে সম্প্রতি ১৭ থেকে ১৮ বার বৈঠক করেন। শরিফুলের বাড়িতে তল্লাশি চালানো হলেও তাঁকে খুঁজে পাওয়া যায়নি বলে জানান সুকান্ত। বিজেপির আশঙ্কা, শরিফুল বাংলাদেশে পালিয়ে গিয়ে থাকতে পারেন।
এই অভিযোগের পরেই জবাব দিয়েছে তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। তিনি বলেন, ‘‘মাদক-পাচারের রানি তো ওদের দলেই আছেন। আর বিজেপি খোঁজ নিক, ওদের এক নেতা ‘গোল্ড লোন’-এর ব্যবসা করছেন। ওরা না বললে আমরাই নাম প্রকাশ্যে আনব।’’ এরও জবাব দিয়েছেন সুকান্ত। বলেছেন, ‘‘বিজেপির কেউ তদন্তে ভয় পায় না।’’ দলের বিধায়ক ইদ্রিস আলিও বলেছেন, ‘‘যে যে অভিযোগ তোলা হয়েছে, সব মিথ্যা। বিজেপির মতো মিথ্যাচারী দল আর দু’টি নেই। ওদের কথা কেউ বিশ্বাস করবে না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy