অশান্ত: সিউড়িতে বিজেপির ধর্না তুলে দিল পুলিশ। প্রতিবাদে অবরোধ বিজেপি কর্মীদের। ছবি: তাপস বন্দ্যোপাধ্যায়
দলীয় কর্মী খুনের প্রতিবাদে ঘোষিত ধর্না কর্মসূচি তুলতে ১৪৪ ধারা প্রয়োগ এবং দলের জেলা সভাপতি-সহ নেতাকর্মীকে আটক করাকে ঘিরে শনিবার অশান্ত হল বীরভূমের সদর শহর সিউড়ি। পুলিশ-প্রশাসনের ভূমিকার প্রতিবাদে হল রাস্তা অবরোধ, থানা ঘেরাও। নেতা-কর্মীদের মুক্তির দাবিতে বিজেপি-র ক্ষোভের রেশ ছড়িয়ে পড়ে জেলার অন্য প্রান্তেও।
নানুরের বিজেপি কর্মী স্বরূপ গড়াইকে গুলি করে হত্যার প্রতিবাদে ও দোষীদের ধরার দাবিতে গত সোমবার থেকে সিউড়িতে জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সামনে সাত দিনের ধর্না কর্মসূচি নিয়েছিল বিজেপি। রোজ সেই মঞ্চ থেকে পুলিশকে তীব্র সমালোচনা করেছেন বিজেপি-র জেলা ও রাজ্য নেতারা। এ দিন অবশ্য পুলিশ-প্রশাসন প্রস্তুতি নিয়েছিল ধর্নামঞ্চ তুলে দেওয়ার। বিজেপির দাবি, এ দিন সকাল ১০টা থেকে ধর্না কর্মসূচি শুরু করার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন দলের নেতা-কর্মীরা। ছিলেন জেলা সভাপতি শ্যামাপদ মণ্ডল। দুপুরে ধর্না মঞ্চে যোগ দেওয়ার কথা ছিল ভারতী ঘোষ, রাজু বন্দ্যোপাধ্যায় এবং নিহত কর্মীর পরিবারেরও।
বেলা ১১টা নাগাদ ধর্নামঞ্চে পৌঁছে যান ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট শুভঙ্কর ভট্টাচার্য, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুবিমল পাল, সিউড়ি থানার আইসি। সঙ্গে বিশাল পুলিশ বাহিনী। তার পরেই ওই এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি হয়েছে এমন একটি নোটিস দেওয়া হয় বিজেপি নেতৃত্বকে। কর্মসূচি বানচাল করতেই এমন করছে প্রশাসন— এই অভিযোগ ঘিরে বিজেপি নেতা এবং পুলিশের মধ্যে বচসা বাধে। তার পরেই সাড়ে ১১টা নাগাদ দু’টি ধাপে মোট ৪২ জনকে তুলে নিয়ে যায় পুলিশ। ফাঁকা করে দেওয়া হয় এলাকা। জেলা সভাপতি-সহ কয়েক জনকে নিয়ে যাওয়া হয় সদাইপুর থানায়। বাকিদের রাখা হয় সিউড়ি থানায়।
পুলিশের গাড়িতে শ্যামাপদ মণ্ডল। ছবি: তাপস বন্দ্যোপাধ্যায়।
প্রতিবাদে সিউড়ি বাসস্ট্যান্ড লাগোয়া মূল রাস্তায় অবরোধ শুরু করেন বিজেপি কর্মীরা। প্রশাসনের বহু অনুরোধেও অবরোধ না-তোলায় জল কামান আনানো হয়, আসে সশস্ত্র পুলিশ বাহিনী। পুলিশের তরফে সঙ্গে আশ্বাস দেওয়া হয়, বিকেলে বিজেপি নেতা-কর্মীদের ছেড়ে দেওয়া হবে। দুপুর ২টো নাগাদ অবরোধ উঠে। তবে নেতা-কর্মীদের অনেকেই সদাইপুরে এসে থানা ঘেরাও করেন। ভারতী ঘোষও পৌঁছে যান সদাইপুরে। কিন্তু তাঁকে থানায় ঢুকতে দেওয়া হয় নি। এ নিয়ে বিতর্কের সৃষ্টি হয়। রাতে অবশ্য সকলকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
হঠাৎ ১৪৪ ধারা জারি করা নিয়ে হাইকোর্টে মামলার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন প্রাক্তন আইপিএস ভারতী। জেলা পুলিশ সুপার শ্যাম সিংহ বলেছেন, ‘‘তিনি আইন জানেন না, এটা মনে করি না। তবে কোনও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের মন্তব্যের প্রতিক্রিয়া দেব না। এটুকু বলব, যা কিছু হয়েছে আইন মেনেই।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy