টিকা সরবরাহ কম হলেও রাজ্য সরকার তার সাধ্য মতো টিকার ব্যবস্থা করছে। গ্রামাঞ্চলেও টিকাকরণের গতি বেড়েছে। গ্রামের অর্ধেক মানুষকে ইতিমধ্যেই টিকা দেওয়া হয়ে গিয়েছে। বৃহস্পতিবার নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক করে বললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
দেশে কোভি়ডের দ্বিতীয় ঢেউ স্তিমিত হতেই তৃতীয় ঢেউ নিয়ে আশঙ্কা শুরু হয়ে গিয়েছে। রাজ্যের কোভিড পরিস্থিতি নিয়ে বলতে এ দিন মমতা সেই আশঙ্কার কথাই ব্যক্ত করলেন। বললেন, ‘‘বাংলায় সংক্রমণের হার কমেছে। কিন্তু তৃতীয় ঢেউ নিয়ে আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে। তাই আরও কিছু দিন কষ্ট করতেই হবে।’’ সেই সঙ্গে টিকাকরণ নিয়ে ঘাটতির কথাও শোনালেন মুখ্যমন্ত্রী।
আরও পড়ুন:
পর্যাপ্ত পরিমাণে টিকা আসছে না বাংলায়, একাধিক বার এই অভিযোগ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। সম্প্রতি দিল্লি সফরে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে বৈঠক করে এই বিষয়টি নিয়ে তিনি আলোচনা করেছেন বলেই জানা গিয়েছিল। দিল্লি ছাড়ার আগের মুহূর্তে সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেছিলেন, ‘‘বাকি রাজ্য টিকা পাক, তাতে কোনও সমস্যা নেই। কিন্তু জনসংখ্যার বিচারে যে পরিমাণ টিকাপাওয়া উচিত, সেই পরিমাণ টিকা পাচ্ছে না বাংলা।’’
বৃহস্পতিবারের সাংবাদিক বৈঠকেও এই প্রসঙ্গ তুললেন মমতা। বললেন, ‘‘রাজ্য টিকা পাচ্ছে না। ত সত্ত্বেও নিজের সাধ্যমতো টিকাকরণ এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে রাজ্য সরকার। গ্রামাঞ্চলে ইতিমধ্যেই ৫০ শতাংশ টিকাককরণ হয়ে গিয়েছে।’’ টিকার অভাবের মধ্যেও প্রতিদিন টিকাপ্রাপ্তির সংখ্যা তিন থেকে চার লক্ষ, জানালেন মমতা।