নতুন দলীয় কার্যালয় তৈরি হতে বছর দুয়েক সময় লাগবে। তাই ইস্টার্ন মেট্রোপলিটন বাইপাস লাগোয়া একটি দোতলা বাড়িতেই আপাতত তৈরি হচ্ছে অস্থায়ী তৃণমূল ভবন। আগামী ৩ মে অক্ষয় তৃতীয়ার দিনে পুজো করে সূচনা হবে নতুন এই পার্টি অফিসের। ওইদিন বাংলার শাসকদলের কার্যালয়ে পুজিত হবেন বিঘ্নহর্তা গণেশ। সঙ্গে দেবী দুর্গা ও সত্যনারায়ণেরপুজো করে নতুন পার্টি অফিসের দ্বারোদ্ঘাটন হবে।পুরোহিতের ভূমিকায় থাকবেন তৃণমূলের প্রতীকে নির্বাচিত প্রথম বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়।
সূত্রের খবর, ওইদিন পুজোর জন্য এলাহি আয়োজন হতে চলেছে। গজাননের জন্য কলকাতার এক বড় মিষ্টির দোকান থেকে বিশেষ ধরনের লাড্ডুআনা হবে। সত্যনারায়ণকে নিবেদন করা হবে কাজু, পেস্তা, নলেন গুড়, দুধ, বাতাসা, আটা দিয়ে তৈরি সিন্নি। মা দুর্গার আরাধনার জন্য থাকছে পৃথক বন্দোবস্ত। তবে তৃণমূল নেতৃত্ব এই পুজোর বন্দোবস্ত প্রসঙ্গে প্রকাশ্যে কিছু জানাতে নারাজ। পুরোহিত শোভনদেবও এ বিষয়ে মুখ খুলতে চাননি। তিনি বলছেন, ‘‘অক্ষয় তৃতীয়ার দিনই সব দেখতে পাবেন।’’
তৃণমূল ভবনে পুজোর আসরে পুরোহিতের ভূমিকা পালন করাশোভনদেবের জন্য নতুন কিছু নয়, দলের জন্মলগ্ন থেকে প্রতি বছর নিয়ম করে তৃণমূল কার্যালয়ে সরস্বতী, বিশ্বকর্মা ও গণেশ চতুর্থীর পুজো করতেন। কিন্তু গত বছর গ্রীষ্মের সময় তপসিয়ার তৃণমূল ভবন ভেঙে ফেলায় এই তিনটি পুজোই আর করতে পারেননি তিনি। তবে আগামী অক্ষয় তৃতীয়ার দিনেই সেই আক্ষেপ মিটতে চলেছে খড়দহের প্রবীণ বিধায়কের। ওইদিন রাজ্যের শাসকদলের সব বড় নেতাকে নতুন কার্যালয়ে পুজোর সময় হাজির হতেও বলা হয়েছে তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্বের তরফে।
যতদিন না নতুন ভবন তৈরি হচ্ছে, ততদিন এই অস্থায়ী দলীয় কার্যালয় থেকেই পরিচালিত হবে তৃণমূলের যাবতীয় কাজকর্ম।