অনুব্রত মণ্ডল।
পরিচারক হিসাবে অনুব্রত মণ্ডলের বাড়িতে কাজ করতেন। তবে বর্তমানে তিনি বোলপুর পুরসভার ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর। সেই বিশ্বজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায় ওরফে মুনের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকেও কোটি কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে। গরু পাচার মামলায় ধৃত বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে চার্জশিটে এমন দাবিই করেছে সিবিআই।
২০১১ সালে মাসিক ৫ হাজার টাকার বেতনে অনুব্রতের বাড়িতে পরিচারক হিসাবে কাজ যোগ দেন বিশ্বজ্যোতি। সেই বিশ্বজ্যোতির ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে কী ভাবে প্রায় ৪৬ লক্ষ টাকা নগদ জমা পড়েছে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সিবিআইয়ের দাবি, বিশ্বজ্যোতির অ্যাকাউন্ট থেকে যাবতীয় যা লেনদেন হয়েছে, সবই অনুব্রত কিংবা তাঁর দেহরক্ষী সহগল হোসেন (গরু পাচার মামলায় তাঁকেও গ্রেফতার করা হয়েছে)-এর নির্দেশে।
গ্রেফতারের ৫৭ দিনের মাথায় গত ৭ অক্টোবর আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালতে অনুব্রতের বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা দিয়েছে সিবিআই। চার্জশিটে সিবিআই দাবি করেছে, বেতন হিসাবে অনুব্রতের পরিবার থেকে বর্তমানে মাসে ২০ হাজার টাকা পান বিশ্বজ্যোতি। এ ছাড়া তাঁর আয়ের অন্য কোনও উৎস নেই। তা সত্ত্বেও তদন্তে দেখা গিয়েছে, একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের বোলপুর শাখায় বিশ্বজ্যোতির নামে যে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট রয়েছে, তাতে সব মিলিয়ে ৫১ বারে মোট ৪৫ লক্ষ ৭৩ হাজার ৬০৪ টাকা নগদ জমা করা হয়। ৮ বার অ্যাকাউন্ট ট্রান্সফারের মাধ্যমে জমা করা হয় ৬২ লক্ষ ৭৭ হাজার ৩৪৫ টাকা।
গোয়েন্দা সংস্থার আরও দাবি, বিশ্বজ্যোতিই তাদের জানিয়েছেন, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টটি তাঁর নামে থাকলেও সেটির নিয়ন্ত্রণ ছিল অনুব্রত ও সহগলের হাতে। তৃণমূল নেতার নির্দেশেই তিনি ভাউচার ও চেকে সই করতেন। টাকা তোলার স্লিপে সই করার নির্দেশ মাঝেমধ্যে সহগলও দিতেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy