হাওড়ায় বেনারস সেতুতে কাজ চলছে। —নিজস্ব চিত্র।
হাওড়া স্টেশনের অদূরে বেনারস সেতু সংস্কারের কাজ শুরু করেছে পূর্ব রেল। যার জেরে বহু ট্রেন বাতিল হওয়ায় যাত্রীদুর্ভোগ চরমে উঠবে বলেই আশঙ্কা। এই পরিস্থিতিতে রেলের দাবি, মেরেকেটে দু’মাস কষ্ট হবে যাত্রীদের। তবে দু’মাস পরে ‘কেষ্ট’ মিলবে! সেতু সংস্কারের কাজ শেষে ট্রেন পরিষেবা আরও ভাল হবে বলেই দাবি করছে রেল।
হাওড়ায় রেললাইনের উপর যে উড়ালপুল রয়েছে, তা ১৯০৩ সালে তৈরি হয়েছে। বর্তমানে যাত্রী সংখ্যা এবং টেনের সংখ্যা দুই-ই বেড়েছে। রেলের বক্তব্য, এর ফলে রেললাইন সম্প্রসারণ প্রয়োজন হয়ে পড়েছে। কিন্তু পুরনো সেতু না-সরালে তা সম্ভব হচ্ছে না। ওই কাজের জন্যই ২০১০ সালে ৬৫ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছিল সেতু নতুন করে নির্মাণ এবং রেললাইন সম্প্রসারণের জন্য। তা-ই এখন শুরু হয়েছে। তা ২০২৫ সালের মার্চের মধ্যে সম্পূর্ণ হবে বলে জানিয়েছেন হাওড়ার ডিআরএম সঞ্জীব কুমার। ডিআরএম জানিয়েছেন, শনিবার থেকেই পাওয়ার ব্লক নিয়ে কাজ শুরু হবে। যার জন্য ব্যাহত হবে ট্রেন পরিষেবা। প্রায় দু’মাস আপ মেন লাইনে ট্রেন চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হবে। বাতিল করা হচ্ছে বেশ কিছু লোকাল ট্রেন। কিছু দূরপাল্লার ট্রেনের সময়ও পরিবর্তন করা হবে। তবে কাজ শেষ হলে যাত্রীদের ভাল হবে বলেই জানান সঞ্জীব। তিনি বলেন, ‘‘সেতু সংস্কারের কাজ সম্পূর্ণ হলে হাওড়া স্টেশনে ট্রেন আসা-যাওয়া স্বাভাবিক হয়ে যাবে। এখন বহু ট্রেনকে দাঁড়িয়ে থাকতে হাওড়া স্টেশনে ঢোকার আগে। তা বন্ধ হবে, কারণ তখন লাইনের সংখ্যা বেড়ে যাবে। ট্রেনের গতিও বাড়বে।’’
রেল আগেই জানিয়েছে, উড়ালপুল তৈরির কাজের জন্য হাওড়া-ব্যান্ডেল শাখায় ১৫টি লোকাল ট্রেন বাতিল থাকবে। বাতিল থাকবে আপ এবং ডাউন মিলিয়ে পাঁচ জোড়া শেওড়াফুলি লোকাল, এক জোড়া বেলুড় মঠ লোকাল, এক জোড়া শ্রীরামপুর লোকাল। এ ছাড়াও বেশ কিছু ট্রেন নির্ধারিত সময়ের বেশ কিছুটা পরে গন্তব্যের উদ্দেশে রওনা দেবে। ২৩ ডিসেম্বর থেকে ২৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত দেহরাদূন-হাওড়া কুম্ভ এক্সপ্রেস ৫০ মিনিট পরে, দেহরাদূন-হাওড়া উপাসনা এক্সপ্রেস ৫০ মিনিট পরে, মুজফ্ফরপুর-হাওড়া জনসাধারণ এক্সপ্রেস এক ঘণ্টা পরে, দ্বারভাঙা-হাওড়া সাপ্তাহিক এক্সপ্রেস এক ঘণ্টা পরে, মোকামা-হাওড়া এক্সপ্রেস ২৫ মিনিট পরে, আজিমগঞ্জ-হাওড়া প্যাসেঞ্জার ১০ মিনিট পরে গন্তব্যের উদ্দেশে রওনা দেবে। ওই ছ’দিন ১০ মিনিট পরে ছাড়বে রক্সৌল-হাওড়া মিথিলা এক্সপ্রেস এবং ৩০ মিনিট পরে ছাড়বে গয়া-হাওড়া এক্সপ্রেস।
সংস্কারের কাজ শেষ হলে সেতুতে যানজটের সমস্যাও দূর হওয়ার কথা। সেতু থেকে সালকিয়ার দিকে প্রবল যানজট হয়। যানজট হয় টিকিয়াপাড়ার দিকেও। সেতু সম্প্রসারণ হলে তা মিটবে বলেই মনে করা হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy