বর্ষবরণের উৎসবে মাতলেন পর্যটক থেকে স্থানীয়রা। বছরের শেষ সন্ধেয় দার্জিলিঙের ম্যালে। নিজস্ব চিত্র।
পর্যটকে ঠাসা পাহাড়। সৈকত শহর দিঘাও। পর্যটকদের ঢল নেমেছে রাজ্যের দুই প্রান্তে। কোনও জায়গাতেই করোনা-বিধি মানার ব্যাপারে বিশেষ সতর্কতা নজরে পড়েনি। তবে বিশেষজ্ঞেরা সচেতনতা বাড়ানোয় জোর দিয়েছেন।
দার্জিলিং, কালিম্পং থেকে মিরিক, টাইগার হিল— এমনকি, পাহাড়ের ছোট ছোট পর্যটন ক্ষেত্রগুলিতেও ভিড় রয়েছে। সিকিমের বিভিন্ন এলাকায় মাঝে মাঝেই তুষারপাত হচ্ছে। কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দফতরের সিকিমের আধিকারিক গোপীনাথ রাহার বক্তব্য, ‘‘সমতলের তাপমাত্রা আরও কমবে। পাহাড়ে বৃষ্টি ও উঁচু এলাকাগুলিতে তুষারপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।’’ এই সম্ভাবনাই যেন বেশি করে পাহাড়মুখী করেছে মানুষকে।
শনিবার সকাল থেকে উৎসবমুখর দার্জিলিঙের ম্যাল থেকে টাইগার হিল। শিলিগুড়ি-দার্জিলিং রুটের বাস, ছোট গাড়িগুলিতে ঠাসা ভিড়। সমতলও ব্যতিক্রম নয়। গুলমা, সুকনা, বাগডোগরা থেকে নকশালবাড়ির টুকুরিয়াঝাড়, ঘোষপুকুরের জঙ্গলেও বনভোজনে ভিড় দেখা দিয়েছে। বক্স, মাইক বাজানোর অভিযোগও উঠেছে।
দিঘায় পর্যটকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গিয়েছে, অনেকেই গাড়ি করে সকালে এসে দিনভর বেড়ানোর পরে, বিকেলে দিঘা ছাড়ছেন। হোটেলের ঘরভাড়া চড়া হবে, এই আশঙ্কায় রাতে থাকছেন না। তবে আজ, রবিবার ইংরেজি নববর্ষে বহু মানুষ পিকনিক করতে আসবেন ও হোটেল-লজেও ভিড় আরও বাড়বে, মত ব্যবসায়ীদের। ‘দিঘা-শঙ্করপুর হোটেলিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন’-এর যুগ্ম সম্পাদক বিপ্রদাস চক্রবর্তী জানান, বড়দিনের তুলনায় হোটেলগুলিতে ভিড় বেড়েছে। তবে বলেন, ‘‘করোনা-বিধি মানার ব্যাপারে প্রশাসনের তরফে এখনও সতর্কবার্তা দেওয়া হয়নি।’’
দার্জিলিঙেও কার্যত উপেক্ষিত করোনা-বিধি। অধিকাংশ পর্যটকের বক্তব্য, প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাস্ক পরার কথা বলা হয়নি। নদিয়ার এক পর্যটকের বক্তব্য, ‘‘পাহাড়ের সৌন্দর্য আর ঠান্ডা উপভোগ করতে যাচ্ছি। মাস্ক ব্যাগে আছে।’’ দার্জিলিঙের সিএমওএইচ তুলসী প্রামাণিক বলেন, ‘‘বিষয়টি আমাদের নজরে রয়েছে। হোটেল মালিক ও পর্যটন ব্যবসায়ীরা যাতে পর্যটকদের করোনা-বিধি বিষয়ে সচেতন করেন, তা বলা হয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy