কলকাতা হাই কোর্ট নিজস্ব চিত্র
প্রতিবেশীদের বিরুদ্ধে মারধর, খুন ও ধর্ষণের অভিযোগ থানায় জানাতে গিয়ে নির্যাতনের শিকার হন হুগলির এক মহিলা। নির্যাতনের অভিযোগ ওঠে বদনগঞ্জ থানার ওসি এবং স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে। ওই ঘটনার তদন্ত করতে এ বার হুগলির পুলিশ সুপারকে নির্দেশ দিল কলকাতা হাই কোর্ট। বুধবার উচ্চ আদালত জানায়, আগামী ৩১ অগস্টের মধ্যে গোটা ঘটনার রিপোর্ট আদলতে জমা দিতে হবে।
গত বছর নির্যাতনের শিকার হয়ে বদনগঞ্জ থানায় অভিযোগ জানাতে যান এক মহিলা এবং তাঁর দেওর। সেই সময় অভিযোগ গ্রহণ তো দূরের কথা উল্টে তাঁদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ চাপিয়ে পুলিশ ফাঁড়িতে আটকে রাখা হয়। সেখানে মারধর করার অভিযোগ ওঠে ওই মহিলাকে। পরে তিনি প্রতিবেশীদের বিরুদ্ধে গ্রাম প্রধানের কাছে যান। সেখানেও তাঁদের উপর চলে নির্যাতন। অভিযোগ, সালিশি সভার আয়োজন করে শ্লীলতাহানি ও নির্যাতন চলে ওই মহিলার উপর। শেষে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন নির্যাতিতা ও তাঁর দেওর। মামলা দায়ের করা হয় বদনগঞ্জ থানার ওসি স্বপন গোস্বামী এবং পঞ্চায়েত প্রধান মহম্মদ গিয়াসুদ্দিনের বিরুদ্ধে।
২৮ জুলাই আদালত সব পক্ষকে হলফনামা জমা দিতে বলেছিল। সেই মতো বুধবার হলফনামা জমা দেন মামলায় যুক্তরা। এই ঘটনায় এ বার পুলিশের উচ্চ পদস্থ আধিকারিকদের দিয়ে তদন্ত করার নির্দেশ দেন বিচারপতি দেবাংশু বসাক। বিচারপতি বলেন, "ওই জেলার পুলিশ সুপার বা অতিরিক্ত পুলিশ সুপারকে দিয়ে পুরো ঘটনার তদন্ত করাতে হবে। আগামী ৩১ অগস্টের মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট জমা দিতে হবে আদালতে।"
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy