—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
জাতীয় সড়কে যান চলাচলের ক্ষেত্রে সব রাজ্যে প্রশাসনের মাথাব্যথার কারণ ওভারলোডিং ট্রাকের সমস্যা। সেই সমস্যা মেটাতে এ বার কেন্দ্রীয় পূর্ত ও সড়ক পরিবহণ মন্ত্রকের তরফে একটি বিশেষ নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছে। যে নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, সব রাজ্যের পরিবহণ ক্ষেত্রে ই-ডিটেকশন পদ্ধতি চালু করতে হবে। কেন্দ্রীয় সরকারের এই নির্দেশ আসার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন পরিবহণ দফতরের শীর্ষকর্তারা। বিষয়টি নিয়ে দফতরের অন্দরে আলোচনা হয়েছে বলে পরিবহণ দফতর সূত্রে খবর। নতুন এই পদ্ধতি চালু করতে একটি অত্যাধুনিক সফ্টঅয়্যারের ব্যবহার করা হবে। যে সফ্টঅয়্যারটি ব্যবহার করলে অতিরিক্ত মাল বোঝাই (ওভারলোডেড) ট্রাক থেকে শুরু করে গাড়ির সিএফ ফেল হওয়ার মতো যাবতীয় সমস্যা জাতীয় সড়কের টোল প্লাজ়া অতিক্রম করার সময়েই ধরা পড়ে যাবে। ইতিমধ্যে এই প্রযুক্তি চালু হয়ে গিয়েছে ছত্তীসগঢ়, বিহার, ওড়িশার মতো রাজ্যে।
পরিবহণ দফতরের একটি সূত্র জানাচ্ছে, নতুন এই পদ্ধতি চালু হলে গাড়ির মালিকদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া যাবে। কোনও গাড়ির পারমিট ফেল হওয়া থেকে শুরু করে সিএফ যথাসময়ে যদি না করা হয়, তা যেমন নতুন প্রযুক্তিতে ধরা পড়ে যাবে, তেমনই আবার বিমা, গাড়ির ধোঁয়া পরীক্ষা, কর বকেয়া কিংবা জরিমানার বিষয়গুলিও সহজেই নজরে আসবে। পাশাপাশি আইন ভেঙে জাতীয় সড়কে গাড়ি চালিয়ে পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে গাড়িচালকদের পালিয়ে যাওয়ার প্রবণতাও বন্ধ করা যাবে। নতুন এই প্রযুক্তি চালু করতে ‘ন্যাশনাল ইলেকট্রনিক্স টোল কানেকশন’-এর সঙ্গে সর্বপ্রথম বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করবেন পরিবহণ দফতরের কর্তারা। মূলত তারাই নতুন সফ্টঅয়্যার তৈরি করে রাজ্য পরিবহণ দফতরের হাতে তুলে দেবে। সেই সফ্টঅয়্যারটির সঙ্গে পরিবহণ দফতরের বাহন পোর্টালকে যুক্ত করে দেওয়া হবে। ফলে কোনও গাড়িতে কী ধরনের ত্রুটি রয়েছে, তা যাতায়াতের পথেই ধরা পড়ে যাবে। নামধাম খুঁজে বার করতে আর পরিবহণ দফতরের কোনও অসুবিধা হবে না।
পরিবহণ দফতরের এক কর্তার কথায়, ‘‘নতুন এই পদ্ধতিতে যেমন নানা সমস্যার সমাধান করা যাবে, তেমনি আবার রাজস্ব বৃদ্ধিতেও অনেক সুবিধা হবে। কারণ, যত বেশি জরিমানা রাজ্য সরকারের নজরে আসবে, ততই বেশি রাজস্ব আদায় সম্ভব হবে। নতুন নিয়ম চালু হলে জাতীয় সড়কের মতো ব্যস্ততম রাস্তায় আর পুলিশকে দাঁড় করিয়ে ট্রাক, লরি কিংবা অন্য পণ্যবাহী গাড়ির কাগজপত্র খতিয়ে দেখতে হবে না। এটাও প্রশাসনের কাছে অত্যন্ত সুখবর বলেই আমরা মনে করছি।’’ পরিবহণ দফতর সূত্রে খবর, রাজ্য সরকার এই সংক্রান্ত বিষয়ে সবুজ সঙ্কেত দিলেই তা কার্যকর করতে উদ্যোগী হবেন দফতরের আধিকারিকেরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy