ফাইল চিত্র।
করোনার আবহে ছাত্র রাজনীতির পরিচিত ধারায় কিছু পরিবর্তন এসেছে। তা ছাড়া কলেজ–বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্বাচন বন্ধ। ভর্তি প্রক্রিয়াও চলছে পুরোপুরি অনলাইনে। তাতে অশান্তি বা ভর্তি সংক্রান্ত অনিয়মের অভিযোগ কমেছে ঠিকই তবে ছাত্র রাজনীতির সক্রিয়তার জায়গাও সঙ্কুচিত হয়েছে। এই অবস্থায় ছাত্রশক্তিকে কী ভাবে কাজে লাগানো যায় ২৮ অগস্ট তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসে তারই দিশা মিলতে পারে বলে মনে করছে তৃণমূল সমর্থক ছাত্র সমাজ।
আগামী শনিবার প্রতিষ্ঠা দিবসে ভার্চুয়াল সভায় বক্তৃতা করবেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার তার প্রস্তুতি বৈঠকে সংগঠনের প্রাক্তন রাজ্য সভাপতিদের কথায় উঠে এসেছে এই প্রসঙ্গ। বৈঠকে সংগঠনের দুই প্রাক্তন সভাপতি বৈশ্বানর চট্টোপাধ্যায় ও অশোক রুদ্র বলেছেন, কয়েক বছর ধরে ছাত্র সংসদ নির্বাচন বন্ধ। এই পরিস্থিতির ফলেই দলে ছাত্র আন্দোলন থেকে উঠে আসা নেতা বা কর্মীর সংখ্যা কমছে। এবং সেই সঙ্গে করোনা পরিস্থিতির কারণে কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বাভাবিক কাজকর্ম বন্ধ হওয়ার ফলে এই সঙ্কট আরও গভীর হয়েছে। সেই সূত্রেই শাসক শিবিরের অনেকেরই ধারণা, ছাত্রদের মধ্যে রাজনৈতিক সক্রিয়তা ধরে রাখতে এ বারের প্রতিষ্ঠা দিবসের মঞ্চ থেকে নতুন দিকনির্দেশ করতে পারেন মমতা।
দলীয় সূত্রে খবর, এই মঞ্চ থেকেই তৃতীয় সরকারের গৃহীত নতুন কর্মসূচি রূপায়ণে ছাত্র সংগঠনের ভূমিকাও ব্যাখ্যা করতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী। ছাত্রছাত্রীদের উচ্চশিক্ষায় আর্থিক সহযোগিতার লক্ষ্যে ‘স্টুডেন্টস ক্রেডিট কার্ড’ চালু করেছে মমতার সরকার। ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে তার প্রচারের পাশাপাশি ‘দুয়ারে সরকার’-এর মতো প্রকল্পে ছাত্র সংগঠনের নেতা-কর্মীরা কী ভাবে সাধারণ মানুষের সহায়ক ভূমিকা পালন করতে পারেন, সে সম্পর্কেও পরামর্শ দিতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী। দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক পদে দায়িত্ব পাওয়ার পর সেই লক্ষ্যে তরুণ প্রজন্মের কর্মী- সমর্থকদের বার্তা দিতে পারেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy