ফাইল চিত্র।
নির্বাচিত ছাত্র সংসদ তুলে দিয়ে অরাজনৈতিক ছাত্র কাউন্সিলের বন্দোবস্ত করেছে রাজ্য সরকার। কিন্তু অন্যান্য ছাত্র সংগঠনের সঙ্গে সুর মিলিয়ে শাসক দলের ছাত্র সংগঠন টিএমসিপি-ও শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে জানিয়ে দিল, চাই ছাত্রভোট, চাই ছাত্র সংসদই। মন্ত্রী অবশ্য জানিয়ে দিয়েছেন, খুব দ্রুত রাজ্যে ছাত্রভোট করা সম্ভব নয়।
অন্য সব ছাত্র সংগঠনও ছাত্রভোটের দাবি জানায়। প্রেসিডেন্সি ও যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়েরও একই দাবি। প্রত্যেকেরই বক্তব্য, কাউন্সিল তৈরি করলে ছাত্রছাত্রীদের ভূমিকা অনেকটাই ক্ষুণ্ণ হবে।
ছাত্র সংসদ নির্বাচন ঘিরে বিভিন্ন কলেজে অশান্তির ঘটনার প্রেক্ষিতে বছর দুয়েক আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজের মডেলে অরাজনৈতিক ছাত্র কাউন্সিল গড়া হবে। পরে বিধানসভায় বিল এনে অরাজনৈতিক ছাত্র কাউন্সিলের সিদ্ধান্ত নেয় রাজ্য সরকার। তাই নির্বাচিত ছাত্র সংসদ নিয়ে টিএমসিপি-র দাবি কিছুটা বিস্ময়ের সৃষ্টি করেছে। এ দিন বিকাশ ভবনে সব ছাত্র সংগঠনের সঙ্গে আলাদা ভাবে কথা বলেন শিক্ষামন্ত্রী। টিএমসিপি-র রাজ্য সভাপতি তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্য এবং সাধারণ সম্পাদক আবির নিয়োগী শিক্ষামন্ত্রীকে জানান, সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের মত নির্বাচিত ছাত্র সংসদের পক্ষেই।
এসএফআইয়ের রাজ্য সম্পাদক সৃজন ভট্টচার্য এ দিন জানান, তাঁরা যে নির্বাচিত ছাত্র সংসদের পক্ষেই, মন্ত্রীকে তা জানিয়ে দিয়েছেন। এ দিনের বৈঠকে বিজেপির ছাত্র শাখা এবিভিপি-কে ডাকা হয়নি। ছাত্রভোট, সিবিসিএস পদ্ধতিতে পঠনপাঠন, খসড়া জাতীয় শিক্ষানীতি নিয়ে আলোচনা হয়। প্রায় আড়াই বছর ধরে এ রাজ্যে ছাত্রভোট হয়নি। স্বভাবতই ছাত্রভোটের বিষয়টি বেশি গুরুত্ব পায়। বিরোধী সব ছাত্র সংগঠন অবিলম্বে ছাত্রভোটের দাবি জানায়। শিক্ষামন্ত্রী জানান, তিনিও ছাত্রভোট করতে আগ্রহী। কিন্তু পরীক্ষা বাদ দিয়ে নয়।
এখনই কেন ছাত্রভোট করা যাবে না, তার ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে মন্ত্রী পরে বলেন, ‘‘সামনেই পুজো। তার পরে তো পরীক্ষা চলবে পরপর। পরীক্ষাকে কোনও ভাবেই অবহেলা করা যাবে না। এর পরে পুরসভার ভোটও আছে। তাই চাইলেও এখনই ছাত্রভোটের ব্যবস্থা করা যাচ্ছে না।’’ শিক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন, তিনি এ দিন সব ছাত্র শিবিরের মতামত শুনেছেন। পরে বিষয়টি ভেবে দেখবেন।
শিক্ষামন্ত্রী জানান, যে-সব বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে কলেজ আছে আর যে-সব বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে কলেজ নেই, সব ক্ষেত্রে ছাত্রভোট একই ভাবে হবে কি না, সেই বিষয়ে ভাবনাচিন্তা চলছে। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে আলাদা ভাবে তিনটি ফ্যাকাল্টির ছাত্র সংসদ তৈরি হয়। এ ক্ষেত্রে তিনটি ছাত্র সংসদ থাকবে, নাকি একটি হবে, সেটাও ভাবা হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy