গোপীবল্লভপুর-২ ব্লকে প্রচারে শুভেন্দু অধিকারী। বৃহস্পতিবার। —নিজস্ব চিত্র।
হুল দিবসের আগের দিন জঙ্গলমহলে ভোট প্রচারে এসে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে শুনতে হল ‘চোর চোর’ স্লোগান। অভিযোগ, বৃহস্পতিবার ঝাড়গ্রামের নয়াগ্রামে ব্লক তৃণমূল সভাপতি রমেশ রাউতের বাড়ির ছাদ থেকেই শুভেন্দুকে লক্ষ্য করে ওই স্লোগান দেন তৃণমূল কর্মীরা। পরে সভা থেকে শুভেন্দু তৃণমূলের সঙ্গে একযোগে পুলিশকেও নিশানা করেন শুভেন্দু।
শুভেন্দুর দাবি, পুলিশের সাহায্যে এই সব হচ্ছে। তিনি বলেন, “রমেশ রাউতকে বলে দিয়ে গেলাম, আমি শুভেন্দু অধিকারী, কিষেনজিকে সোজা করা লোক। লালগড়ের অনুজ পাণ্ডে, ডালিম পাণ্ডেকে সোজা করা লোক। আমার সঙ্গে এ সব করে কোনও লাভ হবে না। জঙ্গলমহলে পুলিশিরাজ চলবে না।” অভিযোগ অবশ্য অস্বীকার করেছে তৃণমূল। নয়াগ্রামের বিধায়ক তথা জেলা তৃণমূলের সভাপতি দুলাল মুর্মু পাল্টা বলেন, ‘‘ওই সভায় লোকজন ছিল না। ফলে মাথা খারাপ হয়ে উল্টোপাল্টা বকেছেন।’’
এ দিন ঝাড়গ্রামে একাধিক কর্মসূচি ছিল শুভেন্দুর। আগাগোড়া পুলিশকে আক্রমণ করেছেন তিনি। সকালে সাঁকরাইলের তুঙ্গাধুয়া গ্রামে জেলা পরিষদের বিজেপি প্রার্থী শুভঙ্কর মাহাতোর পরিজনের সঙ্গে দেখা করেন শুভেন্দু। অভিযোগ, ওই পদ্ম-প্রার্থীকে মারধর করেছেন ওসি। শুভেন্দু বলেন, ‘‘ওসি যে ভাবে একজন জেলা পরিষদের প্রার্থীকে আক্রমণ করেছেন, তাতে প্রমাণিত এ রাজ্যে পুলিশ নিরপেক্ষ নয়। তাঁরা পার্টির ক্যাডারের থেকেও অধম।’’ পঞ্চায়েত ভোটের আগে কুড়মি ভাবাবেগও উস্কে দিয়েছেন তিনি। শুভঙ্করের স্ত্রীর পাশে দাঁড়িয়ে তাঁদের সন্তানকে ধরে শুভেন্দু বলেছেন, ‘‘শুভঙ্কর মাহাতো একজন কুড়মি সমাজের মানুষ ও ক্যানসার রোগী। এই পরিবার যাতে বিচার পায় তার ব্যবস্থা করব।’’
পরে গোপীবল্লভপুর-২ ব্লকের তপসিয়ায় বিজেপি প্রার্থীদের নিয়ে মিছিল করেন শুভেন্দু। নিজেই স্লোগান তুলে ‘চোরমুক্ত পঞ্চায়েত’ গড়ার ডাক দেন। তপসিয়ায় শুভেন্দু বলেন, ‘‘জঙ্গলমহলে যত অত্যাচার হবে, তত প্রতিরোধ হবে।’’ এ দিন গোপীবল্লভপুর-১ ব্লকের চেকপোস্ট থেকে হাতিবাড়ি পর্যন্তও দলীয় প্রার্থীদের সমর্থনে মিছিলে পা মেলান শুভেন্দু। ছিলেন সাংসদ কুনার হেমব্রম, বিজেপির জেলা সভাপতি তুফান মাহাতোরা। মিছিল শেষে হাতিবাড়ি মোড়ে পথসভায় শুভেন্দুর নিদান, ‘‘ভোট লুট করতে এলে প্রতিরোধ করবেন। ব্যালট বাক্স মোটরবাইকে লোকজন নিয়ে স্ট্রং রুম পর্যন্ত পৌঁছে দেবেন। রাস্তায় ব্যালট বাক্স পাল্টাতে দেবেন না। আর গণনায় একেবারে ভোর পর্যন্ত থাকবেন।’’ রাজ্য তৃণমূলের মুখপাত্র তন্ময় ঘোষের পাল্টা কটাক্ষ, ‘‘তৃণমূলের ভোট লুটের প্রয়োজন নেই। বরং ওরা (বিজেপি) বুথে লোক দিতে না পারলে প্রয়োজনে আমরা সাহায্য করব।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy