ছবি: পিটিআই
রাজ্যের মন্ত্রী-বিধায়কদের গ্রেফতারির পর নিজাম প্যালেসের সামনে বিক্ষোভ শুরু করলেন তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা। বেলা গড়াতেই রণক্ষেত্রের চেহারা নিল নিজাম প্যালেসের সামনের রাস্তা। বিক্ষোভের মধ্যেই ধস্তাধস্তি শুরু হল কেন্দ্রীয় বাহিনী ও তৃণমূল সমর্থকদের মধ্যে। বিক্ষোভকারীরা ইটি বৃষ্টি শুরু করলেন বাহিনীকে লক্ষ্য করে। তাতে আরও উত্তপ্ত হল পরিস্থিতি। শেষে ধৃতদের আদালতে পেশ করার বদলে ভার্চুয়াল শুনানির সিদ্ধান্ত নেওয়া হল।
সোমবার বেলা বাড়তেই নিজাম প্যালেসে হাজির হন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপরেই বাইরে জড়ো হতে থাকেন তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা। দলীয় পতাকা নিয়ে স্লোগান দিতে থাকেন তাঁরা। ভিতরে তত ক্ষণে মমতাও বসে পড়েছেন চেয়ারে। এরপর সময় যত গড়াতে থাকে, ততই লোকের ভিড় বা়ড়তে থাকে নিজাম প্যালেসের সামনে। শেষে বাধ্য হয়ে সামনের রাস্তা বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয় পুলিশকে। যদিও ভিড় কমার কোনও ইঙ্গিত ছিল না। একটু পর থেকে রাস্তায় বসে পড়ে স্লোগান দিতে শুরু করেন তৃণমূল সমর্থকরা।
সোমবার সকালে চেতলায় ফিরহাদ হাকিমের বাড়িতে যখন সিবিআই আধিকারিকরা কেন্দ্রীয় বাহিনীকে সঙ্গে নিয়ে উপস্থিত হন, সেখানেও বিক্ষোভ দেখান তৃণমূল সমর্থকরা। তাঁরা গাড়ির সামনে শুয়ে পড়ে পথ আটকানোর হুমকি দেন। কিন্তু পরিবহণ মন্ত্রী সমর্থকদের অশান্তি না করার আবেদন জানান। তারপর চেতলার বাড়ি থেকে গাড়ি বেরিয়ে যায়। পরে তৃণমূলের মুখপাত্র রাজনৈতিক অভিসন্ধির অভিযোগ করেও তৃণমূল সমর্থকদের শান্ত থাকার আবেদন জানান। তার আগেই অবশ্য তৃণমূল কর্মীরা ভিড় জমিয়েছেন নিজাম প্যালেসের বাইরে। তাঁদের দাবি, বিজেপি ভোটে হেরে প্রতিশোধের রাজনীতি শুরু করেছে। তাঁদের প্রশ্ন, কেন একই অভিযোগে অভিযুক্ত মুকুল রায় ও শুভেন্দু অধিকারীদের গ্রেফতার করা হবে না?
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy