পঞ্চায়েত ভোট মেটার পরেও রাজ্যে খুনোখুনি অব্যাহত। তৃণমূলের এক কর্মীকে গুলি করে খুনের অভিযোগ উঠল দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিষ্ণুপুর থানা এলাকায়। শুক্রবার রাতে প্রলয় মণ্ডল নামে ওই তৃণমূল কর্মীকে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলি করে খুন করা হয় বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় তিন জনকে আটক করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন:
নিহত প্রলয় প্রোমোটিংয়ের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন বলে দাবি। পুলিশ সূত্রে খবর, শুক্রবার রাত ১০টা নাগাদ দক্ষিণ বাগি এলাকায় বাইকে করে বাড়ি ফিরছিলেন প্রলয়। সেই সময়ই তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা। ঘটনাস্থলেই লুটিয়ে পড়েন প্রলয়। তাঁকে আমতলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকেরা প্রলয়কে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এই ঘটনা ঘিরে এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে। এলাকায় পুলিশ এবং আধা সামরিক বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।
রাজনৈতিক কারণে খুন না কি প্রোমোটিং নিয়ে বিবাদের জের, তা এখনও স্পষ্ট নয়। কী কারণে খুন, খতিয়ে দেখচ্ছে পুলিশ।
আরও পড়ুন:
রাজ্যে গত ৮ জুন পঞ্চায়েত ভোটের দিন ক্ষণ ঘোষণা করা হয়েছিল। তার পর থেকেই কয়েকটি জেলায় প্রাণহানি, রক্তপাত, সংঘর্ষ, বোমাবাজির ঘটনা ঘটেছে। গত ৮ জুলাই ভোটের দিনও রণক্ষেত্রের পরিস্থিতি তৈরি হয় জেলায় জেলায়। গত ১১ জুলাই গণনার দিনও সেই অশান্তির রেশ অব্যাহত ছিল। এমনকি, গণনার পরেও খুনোখুনি অব্যাহত। দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিভিন্ন এলাকায় প্রাণহানি, রাজনৈতিক সংঘর্ষের ঘটনা চলছেই। ভাঙড়ে গণনার দিন তিন জনের মৃত্যু হয়েছে। সেখানে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। এই আবহে শুক্রবার রাতে ক্যানিংয়ের সাতমুখি গাজিপাড়ায় এক তৃণমূল কর্মীকে খুনের অভিযোগ উঠেছে আইএসএফের বিরুদ্ধে। যদিও সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছে আইএসএফ। শুক্রবারেই দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিষ্ণুপুরে আরও এক তৃণমূল কর্মীকে খুনের অভিযোগ উঠল।