ফাইল চিত্র।
তৃণমূল নেতৃত্বের ‘সিলমোহর’ দেওয়া প্রার্থী তালিকায় নাম না থাকা সত্ত্বেও বিভিন্ন জায়গায় দলীয় প্রার্থী হিসেবে পুরনির্বাচনে মনোনয়ন জমা পড়ার খবর মিলেছে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সংসদীয় কেন্দ্র ডায়মন্ড হারবার তার একটি। তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করে দিয়েছেন, দলীয় নেতৃত্বের সই করা যে তালিকা জেলায় জেলায় পাঠানো হয়েছে সেটিই আসল। তা সত্ত্বেও ওই তালিকার বাইরে থেকে মনোনয়ন জমা পড়ার ঘটনা নিয়ে তৃণমূলের ভিতরে বাইরে গুঞ্জন ও জল্পনা বাড়ছে।
তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ইতিমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছেন, নেতৃত্বের সই করাই তালিকাই চূড়ান্ত তালিকা। সূত্রের খবর, ওই তালিকার বাইরে গিয়ে কেউ মনোনয়ন জমা দিলে দল তাঁদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার পথে যাচ্ছে। দলের এক শীর্ষনেতার কথায়, ‘‘এ সব হলে সরাসরি তৃণমূলনেত্রীর নির্দেশের অবমাননা বলে মনে করতে হবে। সেক্ষেত্রে শৃঙ্খলার স্বার্থে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি।’’
মনোনয়ন জমার শেষ দিন আজ বুধবার। তবে মঙ্গলবার দিনভর গোটা রাজ্যেই প্রার্থী তালিকা নিয়ে তৃণমূলের বিক্ষোভ দেখা গিয়েছে। উত্তর থেকে দক্ষিণবঙ্গ, বহু জায়গায় এ দিনও পথ অবরোধ, টায়ার জ্বেলে বিক্ষোভ করেছেন প্রার্থী নিয়ে ক্ষুব্ধ দলীয় কর্মী- সমর্থকেরা। তবে মমতার অনুমোদিত তালিকার পাশাপাশি প্রথম প্রকাশিত যে তালিকাকে দল স্বীকৃতি দেয়নি তা এ দিনও দলেরই অফিশিয়াল ওয়েবসাইট, ফেসবুক পেজ-এ বহাল রয়েছে। সেগুলি প্রত্যাহার করার ঘোষণা না হওয়ায় গোড়া শুরু বিভ্রান্তি এবং তা ঘিরে বিক্ষোভ চলছে নানা জায়গায়। এই অবস্থায় মনোনয়ন পর্ব চলায় বিভ্রান্তি আরও বেড়েছে।
দলের অনুমোদিত দ্বিতীয় তালিকায় নাম না থাকলেও ডায়মন্ড হারবার পুরসভার একাধিক ওয়ার্ডে তৃণমূলের প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা পড়ল। তাঁদের একজন বিদায়ী পুরপ্রধান প্রণব দাসের মেয়ে মৌমিতা দাস। অন্যজন আর এক প্রাক্তন পুরপ্রধান মীরা সরকার। এ দিন ডায়মন্ড হারবার মহকুমা শাসকের কাছে তৃণমূলের ১৬ প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দেন। এ দিন প্রার্থীরা প্রথমে মিছিল করে লালপুলের কাছে জমায়েত করেন। পরে সেখান থেকে হেঁটে যান মহকুমা শাসকের দফতরে।
ডায়মন্ড হারবার টাউন তৃণমূলের প্রাক্তন যুব সভাপতি রাজর্ষি দাসের নাম প্রথম তালিকায় ছিল। তবে দ্বিতীয় তালিকায় তাঁর নাম বাদ পড়ে। তিনি এ দিন মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। রাজর্ষি বলেন, ‘‘আমি মনোনয়ন জমা দিয়েছি। প্রথম তালিকা মেনেই মনোনয়ন জমা দেওয়া হয়েছে।’’
এ দিন ১৩ জন বাম প্রার্থীও মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। ৩ জন প্রার্থী আগেই মনোনয়ন দিয়েছিলেন। ১৬ প্রার্থীকে নিয়ে এ দিন দলীয় কার্যালয়ে সাংবাদিক বৈঠক করে বাম নেতৃত্ব। পুরসভার ক্ষমতায় এলে পানীয় জল, নিকাশি নালা, যানজটমুক্ত শহরের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়। সিপিএম নেতা দেবাশিস ঘোষ বলেন, ‘‘এখানে ভয়ভীতির রাজনীতি চলছে। মানুষের অধিকার কেড়ে নেওয়া হচ্ছে। আমরা মানুষের পাশে থাকতে চেষ্টা করব।’’ দলীয় সূত্রের খবর, করোনা পরিস্থিতিতে ‘রেড ভলান্টিয়া’র হিসাবে কাজ করা ৮ জনকে প্রার্থী তালিকায় রাখা হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy