—ফাইল চিত্র।
তৃণমূল কংগ্রেসের অভ্যন্তরে ক্ষমতার ‘ভরকেন্দ্র’ নিয়ে চর্চায় ইতি টেনে দিয়েছেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বয়ং। সেই সঙ্গে ১০৬টি পুরসভার আসন্ন নির্বাচনে দলের প্রার্থী বাছাইয়ে তিনি যে সাংগঠনিক পদ্ধতির উপরেই জোর দিতে চাইছেন, তা-ও স্পষ্ট করে দিয়েছেন তৃণমূলনেত্রী। সমস্ত পুর এলাকার পুরনো ও অভিজ্ঞ নেতা, বিধায়ক এবং পদাধিকারীদের থেকে নেওয়া তালিকাকেই এ বার প্রাধান্য দিতে চলেছে তৃণমূল। প্রার্থী বাছাইয়ের এই প্রক্রিয়াকে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। দলীয় সূত্রে খবর, এই তালিকায় দলের পুরনো নেতা-কর্মীদের বেশি গুরুত্ব দিতেই পুরভোটে দলীয় কাঠামোয় নির্ভর করে কাজ করছেন তৃণমূল নেতৃত্ব।
দলীয় সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার সংসদীয় দলের বৈঠকে তৃণমূলনেত্রী জানিয়েছেন, পুরভোটে প্রার্থী তালিকা তৈরি সংক্রান্ত কাজ প্রাথমিক ভাবে দেখবেন দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী। তবে কিছু দিন আগে থেকেই এই প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। পুর এলাকার দলীয় বিধায়ক, জেলা সভাপতি ও জেলার গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের কাছ থেকে সংশ্লিষ্ট এলাকার পুরসভা ভিত্তিক প্রার্থীদের নাম সংগ্রহ করেছেন বক্সী। গত কয়েক দিন ধরে তা নিয়ে ঝাড়াই বাছাই করা হয়েছে। শুক্রবার এই ১০৬টি পুরসভার প্রায় ৩ হাজার প্রার্থীর তালিকা নিয়ে দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠকের পরে প্রাথমিক ভাবে তা চূড়ান্ত করা হয়েছে। এ বার সেই তালিকা যাবে মমতার কাছে। তিনিই তাতে সিলমোহর দেবেন। প্রয়োজনে সংযোজন বা সংশোধনও করবেন তিনিই।
কলকাতা পুরসভার প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করার ক্ষেত্রে শেষ মুহূর্তে কিছুটা এই রকম অবস্থানই নিয়েছিলেন মমতা। ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোর ও তাঁর সংস্থা ‘আইপ্যাক’-এর দেওয়া পরামর্শের অনেকটাই দল গ্রহণ করেনি। বরং দলের নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করেই পুরনো প্রার্থী পরিবর্তনের বদলে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই তাঁদের প্রার্থী করেছিলেন তৃণমূলনেত্রী। এ বার সেই প্রক্রিয়ায় গোড়াতেই হস্তক্ষেপ করেছেন তিনি। দলের একাংশের ধারণা, ১০৬টি পুরসভার এই ভোটে প্রার্থীর সংখ্যা কলকাতার থেকে অনেক বেশি। সেই কারণে পরে জটিলতা এড়াতে আগে থেকেই সতর্ক হয়ে পদক্ষেপ করছেন দলনেত্রী স্বয়ং।
সে ক্ষেত্রে এই নির্বাচনের প্রস্তুতি-পর্বেও ভোটকুশলী প্রশান্তের সংস্থা ‘আইপ্যাক’-এর গুরুত্ব কিছুটা কমিয়ে দেওয়া হল বলে মনে করা হচ্ছে। দলের রাজ্যের এক শীর্ষ নেতার কথায়, ‘‘আইপ্যাক তো পরামর্শদাতা। তাদের পরামর্শ দলনেত্রীর কাছে নিশ্চয়ই আছে। আবার দলেরও জেলা সভাপতি ও ব্লক কমিটিগুলির এ ব্যাপারে মত আছে। সেগুলিও তাঁর কাছে যাবে। এবং এই দুই তালিকা সামনে রেখেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy