রাজ্যসভার তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ জহর সরকার। ছবি: সংগৃহীত।
রাজ্যসভার তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ জহর সরকারের ‘আচরণের’ জেরে তাঁকে অনতিবিলম্বে ‘সম্মানজনক বিচ্ছেদের’ পথ বেছে নেওয়ার পরামর্শ দিলেন দলীয় নেতৃত্ব। বৃহস্পতিবার তৃণমূল সূত্রে এই খবর জানা গিয়েছে।
রাজনৈতিক সূত্রের খবর, তৃণমূলের তরফে গোটা বিষয়টি নিয়ে জহরের সঙ্গে কথা বলার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল রাজ্যসভায় দলের সচেতক সুখেন্দুশেখর রায়কে। তিনি ইতিমধ্যেই জহরের সঙ্গে কথা বলেছেন। তৃণমূল সূত্রের বক্তব্য, জহর কোনও দলীয় পদে নেই। তিনি মুখপাত্রও নন। তিনি যা বলেছেন, তা দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বা অন্য কোনও নেতাকে জানিয়ে বলেননি। স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে বলেছেন। ফলে তিনি যা বলেছেন তা তাঁর নিজস্ব বক্তব্য, যাতে দলীয় নেতৃত্বের কোনও সিলমোহর নেই। সুতরাং মমতা কেনই বা জহরের সঙ্গে কথা বলবেন? প্রসঙ্গত, দু’দিন আগেই জহর জানিয়েছিলেন, মমতা বললে তিনি পদত্যাগ করে চলে যাবেন।
তৃণমূলের আরও বক্তব্য, রাজ্যসভার ওই সাংসদ সাক্ষাৎকার দেওয়ার জন্য এমন সময় বেছে নিয়েছেন, যখন তদন্তকারী সংস্থাগুলিকে রাজ্যের নেতা-মন্ত্রীদের পিছনে ‘লেলিয়ে দিয়েছে’ কেন্দ্র। জহরের মনে যদি ক্ষোভ থাকত, তা হলে তিনি ২১ জুলাই রাতে নেত্রীর বাড়িতে ডাকা সংসদীয় দলের বৈঠকে সে কথা জানাতে পারতেন। তার পরেও অগস্টের গোড়ায় মমতা যখন দিল্লিতে এসেছিলেন, তখনও সুখেন্দুশেখরের বাড়িতে ডাকা সাংসদদের জমায়েতে আলাদা করে কথা বলার সুযোগ ছিল।
জহর ঘনিষ্ঠ মহলে অভিযোগ তুলেছেন, তাঁকে বলার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে না। এই অভিযোগ উড়িয়ে দিচ্ছে দল। তৃণমূল নেতৃত্বের বক্তব্য, হিসাব করে দেখা যাচ্ছে, দলের পক্ষ থেকে গত এক বছরে সবচেয়ে বেশি বলার সুযোগ পেয়েছেন জহরই। তিনি রাজ্যসভার নেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন অথবা সুখেন্দুশেখরের থেকেও বেশি সময় বলেছেন।
দলীয় সূত্রের বক্তব্য, জহরকে যত দ্রুত সম্ভব সিদ্ধান্ত নিতে বলা হয়েছে। তিনি সম্মানজনক ভাবে বিচ্ছেদের পথ বেছে নিলে সেটি তাঁর পক্ষেও ভাল, দলেরও তাতে মঙ্গল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy