রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় ও পার্থ চট্টোপাধ্যায়।—ফাইল চিত্র।
লোকসভায় পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপালের বিরুদ্ধে ফের তীব্র ভাষায় সরব হল তৃণমূল। তফসিলি জাতি ও জনজাতির জন্য কমিশন গড়ার বিল রাজ্যপাল সই না করায় তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে সংসদে আক্রমণাত্মক ভূমিকা নিলেন দলীয় সাংসদেরা। রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় আবার ওই বিল সংক্রান্ত মন্তব্যের জন্যই বুধবার টুইট করে পরিষদীয় মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ‘ভুল’ ধরিয়ে দিয়েছেন। পাল্টা রাজ্যপালকে কটাক্ষ করেছেন পার্থবাবুও।
লোকসভায় জিরো আওয়ারে বলতে উঠে বুধবার তৃণমূলের নেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক যে, পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা তার শীতকালীন অধিবেশন শেষ করতে পারল না! তার কারণ, রাজ্যপাল বিলটি সই করে পাঠালেন না এবং ওই বিল আইনে পরিণত করাও গেল না।’’ চাঁছাছোলা ভাষায় সুদীপবাবু এর পরে বলেন, ‘‘আমরা রাজ্যপালের এই জঘন্য আচরণের প্রতিবাদ জানাচ্ছি। বিষয়টিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ দাবি করা হচ্ছে। রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান হিসাবে রাজ্য সরকারের কাজে বাধা দেওয়া রাজ্যপালের অনুচিত। বিশেষত, যখন সেই সরকার মানুষের ভোটে গঠিত।’’
সুদীপবাবু লোকসভাকে জানান, তফসিলি জাতি বা জনজাতি কমিশন ইতিমধ্যেই রাজস্থান, পঞ্জাব, কেরল, মধ্যপ্রদেশ-সহ ১২টি রাজ্যে তৈরি হয়ে গিয়েছে। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে অনুরূপ একটি কমিশন তৈরির উদ্যোগ বাধা পেল। সুদীপবাবুর কথায়, ‘‘দেশের যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর সামনে চ্যালেঞ্জ তৈরি হয়েছে।’’ উঠে দাঁড়িয়ে তৃণমূলের বক্তব্যকে সমর্থন করেছেন ডিএমকে-র কানিমোঝি এবং এনসিপি-র সুপ্রিয়া সুলে।
রাজ্যেও সরকার ও রাজভবনের সংঘাত অব্যাহত। কেন তিনি তফসিলি জাতি ও জনজাতি কমিশনের বিলে ছাড়পত্র দেননি, সেই কারণ বিধানসভাকে জানানোর জন্য মঙ্গলবার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দিয়েছিলেন রাজ্যপাল ধনখড়। কিন্তু সেই চিঠি পড়ার আগেই অধিবেশন অনির্দিষ্ট কালের জন্য মুলতুবি করে দেওয়া হয়। পরিষদীয় মন্ত্রী পার্থবাবু বলেছিলেন, স্পিকারের কাছে আসার আগেই রাজ্যপালের চিঠির কথা প্রকাশ্যে এসে গিয়েছিল! তারই জবাবে রাজ্যপাল এ দিন জানিয়েছেন, স্পিকারকে পাঠানোর যথেষ্ট সময় পরে তাঁর চিঠির কথা প্রকাশ্যে জানানো হয়েছিল। ধনখড়ের মন্তব্য, ‘‘মাননীয় মন্ত্রীর বক্তব্য তথ্যগত ভাবে ভুল। ভবিষ্যতে রাজ্যপালের সাংবিধানিক কাজ নিয়ে প্রকাশ্যে মন্তব্য করার আগে তিনি ভাল করে জেনে নেবেন, এই আশা করা যায়।’’
রাজ্যপালের ওই কথার জবাবে পার্থবাবু বলেন, ‘‘রাজ্যপাল কী করলেন, সেটা আমার বলার দরকার নেই। আমার দায়িত্ব বোধ সম্পর্কে আমি সচেতন। আমি ২০ বছর হতে চললো সংসদীয় রাজনীতিতে রয়েছি। আমি জানি, কোনটা সংবিধান আর সংসদীয় রাজনীতিতে অনুমোদিত।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy