ফাইল চিত্র।
প্রথম টুইটটি সামনে এসেছিল বেলা সাড়ে ১১টা নাগাদ। তা ঘিরে হুড়োহুড়ি শুরু হতেই পাল্টা হিসেবে আরও একটি টুইট এল ঘণ্টাদুয়েক পরে। ভবানীপুর-সহ তিন কেন্দ্রে নির্বাচনী প্রচার শেষ হওয়ার আগে তৃণমূল ও বিজেপি শিবিরের এই জোড়া টুইটেই সরগরম রইল রাজ্য রাজনীতি।
শেষ পর্বের প্রচারে অশান্তি ঘিরে সোমবার সকাল থেকেই উত্তাপ ছিল শহরে। তার মধ্যেই বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়ের দলত্যাগের ইঙ্গিত দিয়ে একটি টুইট করেন তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। সেই টুইটে নির্দিষ্ট করে কিছু উল্লেখ করা না হলেও ‘রাজনীতিতে বন্ধু লকেটের পুরনো ইনিংস ফিরে (লকেটের রাজনৈতিক জীবন শুরু হয়েছিল তৃণমূলে) আসবে বলে আশা প্রকাশ’ করেছেন তিনি। কুণাল তাঁর টুইটে লেখেন, ‘দলের বহু অনুরোধ সত্ত্বেও তারকা প্রচারক (বিজেপি লকেটকে এই বন্ধনীতে রেখেছিল) ভবানীপুরে বিজেপি প্রার্থীর প্রচারে না নামায় তাঁকে অভিনন্দন।’ তার পরেই জল্পনা ছড়িয়ে তৃণমূলের মুখপাত্র লেখেন, ‘পৃথিবী ছোট। বন্ধু হিসেবে সাফল্য কামনা করি।’ লকেট অবশ্য এই জল্পনা নস্যাৎ করে বলেছেন, ‘‘ভবানীপুরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জয় নিয়ে সংশয় রয়েছে বলেই এই রকম ভুয়ো খবর ছড়ানো হচ্ছে।’’
বিধানসভা ভোটে হারের পরে বিজেপির একাধিক বিধায়ক ইতিমধ্যেই তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। সম্প্রতি আসানসোলের বিজেপি সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়ও তৃণমূলে চলে আসার পর কুণালের এই টুইট ঘিরে বিজেপির অন্দরেও গুঞ্জন শুরু হয়ে যায়। তবে দ্রুত এই ‘গুঞ্জন’ থামাতে পাল্টা বার্তা দেওয়া হয় লকেটের তরফেও। কুণালকে সামনে রেখে তৃণমূলকে খোঁচা দিয়ে হুগলির বিজেপি সাংসদ লেখেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যাতে ভোটে না হারেন, আপাতত তাতেই মন দিন!’ সন্ধ্যায় ফের একটি টুইট-বার্তায় লকেট আরও বলেছেন, ‘আমি উত্তরাখণ্ডে নির্বাচনী প্রচারে আছি। যেমন ভবানীপুরে দিলীপ ঘোষ, শুভেন্দু অধিকারীরা আছেন’।’
বাবুলের দলবদলের পরপরই রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেছিলেন, বিজেপির আরও এক ‘বড় নেতা’ দলবদল করতে চলেছেন। তার পরপরই কুণালের এই টুইট। ভোটের প্রচারের শেষ দিনে এমন টুইট কি কেবলই রাজনৈতিক চমকে বিজেপিকে অস্বস্তিতে ফেলার চেষ্টা? কুণাল অবশ্য বলেন, ‘‘আমার আজ যেটুকু বলার ছিল, সেটুকুই বলেছি।’’ রাজনীতিতে ‘পুরনো ইনিংস’-এ ফেরা নিয়ে বিজেপি সাংসদের সঙ্গে তাঁর কি কোনও কথা হয়েছে? সরাসরি উত্তর এড়িয়ে তৃণমূল নেতা বলেন, ‘‘বন্ধু, তাই কথা তো হয়ই। কিন্তু কখন, কী কথা হয়েছে, আলোচনা করব না।’’ লকেট অবশ্য বলেন, ‘‘বন্ধুত্ব আর রাজনীতি এক নয়। মুখে এক রকম বলব আর কাজে অন্য রকম করব, আমি তাতে বিশ্বাসী নই। যে দলের বিরোধিতা করছি, তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখার মতো অনৈতিক কাজ আমি করি না।’’
বিজেপির সর্বভারতীয় সব-সভাপতি দিলীপ ঘোষও তৃণমূল নেতাকে কটাক্ষ করে বলেছেন, ‘‘কুণাল স্বপ্ন দেখেন। ত্রিপুরায় বিপ্লব করতে দিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। আমাদের দলের অনেক তারকা প্রচারক আছেন। কেউ কেউ এসেছেন, কেউ কেউ পারেননি। লকেট উত্তরাখণ্ডের নির্বাচনের দায়িত্বে আছেন। অন্যেরা না পারলে তিনিও নিশ্চয়ই ভবানীপুরে আসতেন। আমাদের যাঁরা ভবানীপুরে নির্বাচন সামলাচ্ছেন, উনি (কুণাল) আগে তাদের সামলে নিন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy