'জয় শ্রীরাম' স্লোগান সম্পর্কে অমর্ত্যের মতকেই বিজেপির বিরুদ্ধে প্রচারে নেমেছে রাজ্য সরকার। ধর্মতলায় দেখা গেল এই পোস্টার। —নিজস্ব চিত্র।
বিজেপির জয় শ্রীরামের মোকাবিলায় এ বার অমর্ত্য সেনের বক্তৃতাকে হাতিয়ার করছে রাজ্য সরকার। রাজ্যের প্রতিটি পুরসভাকে ‘জয় শ্রীরামে’র পাল্টা প্রচারের নির্দেশ দিল পুর ও নগরোন্নয়ন দফতর। চলতি সপ্তাহেই ই-মেল মারফৎ এই নির্দেশ পাঠানো হয়েছে। জানানো হয়েছে প্রচারের বিস্তারিত রূপরেখা।
এ রাজ্যের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে 'জয় শ্রীরাম' স্লোগান সামনে এসেছে লোকসভা ভোটের সময় থেকে। স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী একাধিকবার গাড়ি থেকে নেমে এই স্লোগানের প্রতিবাদ করেছেন। বিজেপিও তাঁকে ‘তাতানো’র জন্য স্লোগানটিকে ব্যবহার করেছে। তৃণমূল ও বিজেপির নীচের তলার কর্মীদের মধ্যেও এ নিয়ে বিরোধ বেধেছে দিকে দিকে। রাজ্যে নির্বাচনী প্রচারে এসে স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী জনসভার মঞ্চ থেকে এই স্লোগান দিয়ে দলের নেতা-কর্মীদের উৎসাহিত করেছেন।
এই চাপানউতোরে মধ্যেই সম্প্রতি কলকাতায় একটি অনুষ্ঠানে এসে ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান নিয়ে বিজেপিকে তীব্র আক্রমণ করেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন। ওই অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘‘জয় শ্রীরাম স্লোগান আগে কখনও শুনিনি। ইদানীং প্রহারের জন্য ওই স্লোগান ব্যবহার করা হচ্ছে।’’
অমর্ত্যের এই মতকেই বিজেপির বিরুদ্ধে প্রচারে আনতে চাইছে রাজ্য সরকার। নগরোন্নয়ন দফতরের নির্দেশে পুরসভার প্রধানদের বলা হয়েছে, নোবেলজয়ীর ছবিসহ তাঁর অভিমত ফ্লেক্সে ছেপে ব্যাপকহারে ছড়িয়ে দিতে হবে। অমর্ত্যের ছবি ও বক্তৃতার নির্দিষ্ট অংশও পুরসভাগুলিকে পাঠানো হয়েছে।
মন্ত্রীর নির্দেশ হিসাবে পাঠানো ই-মেল-এ অবশ্য বলা হয়েছে, প্রচারক হিসেবে ফ্লেক্সে ‘নাগরিক বৃন্দ’ লিখতে হবে। সরকারি এক আধিকারিকের কথায়, ‘‘প্রয়োজন হলে বিভিন্ন সামাজিক বিষয় নিয়ে সরকার এই ধরনের প্রচার করতে পারে। বিষয়টি নিয়ে রাজনৈতিক বিতর্ক হওয়ায় সরকার এই কৌশল নিয়েছে।’’
এবার শুধু খবর পড়া নয়, খবর দেখাও।সাবস্ক্রাইব করুনআমাদেরYouTube Channel - এ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy