ফাইল চিত্র
কেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও আইনমন্ত্রী মলয় ঘটককে নারদ মামলায় যুক্ত করা হয়েছে, সেই প্রশ্ন তুলে এবং তার প্রতিবাদ জানিয়ে সোমবার কলকাতা হাই কোর্টে হলফনামা দায়ের করেছে রাজ্য সরকার। তাঁকে এই মামলায় যুক্ত করায় প্রতিবাদ জানিয়ে একই সঙ্গে হলফনামা জমা দিয়েছেন তৃণমূলের সাংসদ-আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ও। এই বিষয়ে নিজেদের বক্তব্য পেশ করার জন্য ১০ দিন সময় চেয়েছে তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই।
অনেক আইনজীবীর পর্যবেক্ষণ, এ ভাবে নারদ মামলা সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ে হলফনামা দেওয়ায় শুনানিতে বিলম্ব হচ্ছে। এই মামলার বিচারের জন্য ভারপ্রাপ্ত পাঁচ বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চও কার্যত একই কথা জানিয়েছে। বেঞ্চের সদস্য, হাই কোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দল জানান, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী মামলার শুনানিতে অতিরিক্ত সময় দেওয়া যাবে না। তাই এ বার আবেদন গ্রহণ করা হলেও আর সময় দেওয়া হবে না। আগামী ১৩ সেপ্টেম্বর এই মামলার পরবর্তী শুনানি ধার্য করা হয়েছে।
গত মে মাসে সিবিআই রাজ্যের চার মন্ত্রী-নেতাকে নারদ মামলায় গ্রেফতারের পর থেকেই এই আইনি লড়াই চলছে। চার মন্ত্রী-নেতার জামিনের বিরোধিতা করে, তার সঙ্গে রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির অভিযোগ তুলে এবং নারদ মামলার বিচার রাজ্যের বাইরে সরানোর আর্জি জানিয়ে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে সিবিআই। জামিনের প্রসঙ্গে প্রথমেই ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি এবং বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতপার্থক্য হয়।
তার পরেই গড়া হয় পাঁচ সদস্যের ডিভিশন বেঞ্চ। বৃহত্তর বেঞ্চ চার জনকে জামিন দিলেও বাকি আর্জির মীমাংসা এখনও হয়নি। চার মন্ত্রী-নেতাকে গ্রেফতারের দিন নিজ়াম প্যালেসের বাইরে তৃণমূল কর্মী-সমর্থকেরা বিক্ষোভ দেখান। তাকেই আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি হিসেবে চিহ্নিত করে মুখ্যমন্ত্রী, আইনমন্ত্রী এবং আইনজীবী-সাংসদকে এই মামলায় যুক্ত করেছে সিবিআই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy